ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় স্বচ্ছতা নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলল অস্ট্রেলিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৬:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০ রবিবার

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইন

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইন

চীনে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাস ইতিমধ্যে হানা দিয়েছে বিশ্বের প্রায় সবদেশে। যার প্রকোপ শুরুর দিকেই দেখা দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। যদিও দেশটিতে বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে ভাইরাসটি।

তবে চীনের দেয়া তথ্য, উৎপত্তির ব্যাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি বলছে, করোনা নিয়ে চীন সরকারের দেয়া তথ্য স্বচ্ছ নয়। পাশাপাশি ভাইরাসটির উৎস ও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
  
আজ রোববার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

চীনের ভাষ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বন্যপ্রাণীদের একটি বাজার থেকে ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়। যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সন্দেহ পোষণ করে আসছে। এসব রাষ্ট্রের দাবি, প্রাণী নয়, মানুষকে ধ্বংস করতেই চীনের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। 

যাতে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়াল্ডোমিটারের দেয়া তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের। যদিও, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৬ লাখ।   

আর অস্ট্রেলিয়ায় এই মুহূর্ত পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০৬ জন আক্রান্তের বিপরীতে মারা গেছেন ৭০ জন। বর্তমানে সেখানে স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনে বলেন, ‘চীনের স্বচ্ছতা নিয়ে বেশ উদ্বেগ রয়েছে। যা খুব উচ্চ পর্যায়ের। করোনা ভাইরাস ঘিরে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা দরকার এবং আমি মনে এটা করা গুরুত্বপূর্ণ। যার দৃঢ়ভাবে তদন্ত চায় অস্ট্রেলিয়া।’

অবশ্য, চীনের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ করেছিল দেশটি। এতে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটে। 

এদিকে, তথ্য গোপন করার পরও চীনের পাশে থাকার অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটিকে ‘চীনঘেষা’ আখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

তবে বরাবরই এসব অভিযোগ নাকচ করে আসছে বেইজিং। তাদের দাবি, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই স্বচ্ছ ছিল এবং বিশ্বকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছিল। 

এআই/এসি