ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভারতে আজ থেকে শিথিল হচ্ছে লকডাউন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২০ সোমবার

লকডাউনের মধ্যেই আজ সোমবার থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করতে চলেছে ভারত। এ ব্যাপারে আগেই দেশটির কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলো একমত হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ২০ এপ্রিল থেকে কিছু ছাড় দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী রোববার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে রাজ্যকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। খবর এনডিটিভির।  

সেখানে বলা হয়, যে এলাকাগুলি হটস্পট বা ক্লাস্টার নয়, সেখানে আংশিকভাবে আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরু করা যাবে। সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্যও। 

তবে, এমন সময় এ ব্যবস্থা কার্যকরি হচ্ছে যখন দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রাণ গেছে ৫৫৯ জনের। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ‘হটস্পট’ চিহ্নিত জেলাগুলির মধ্যে ‘কন্টেনমেন্ট’ এর জন্য শনাক্ত এলাকা আপাতত সিল করা হচ্ছে। হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার কিছু অংশকে ‘কন্টেনমেন্ট’ করা হয়েছে। সেখানে বাড়ি থেকে মানুষকে যাতে না বেরোতে হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। 

সরকারিভাবে কিছু না বলা হলেও প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, ‘জেলা প্রতি দু’জন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের একজন খাদ্যসামগ্রী সংক্রান্ত চাহিদা দেখভাল করবেন। অন্যজন বাকি জরুরি পরিষেবার চাহিদা মেটাবেন।’ 

প্রশাসন সূত্রে খবর, ‘কন্টেনমেন্ট’ এলাকার বাসিন্দারা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জেলার কন্ট্রোলরুম নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে পাওয়া সেই চাহিদা-বার্তা সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জরুরি জিনিসপত্র স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশের মাধ্যমে পৌঁছে দেবেন। 

অনলাইনে কেউ অভিযোগ জানালে সেই তথ্য নবান্ন ছাড়াও জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যাবে। অভিযোগের নিষ্পত্তি করার পরে সংশ্লিষ্ট জেলা বা প্রশাসন অনলাইনেই সেই তথ্য জমা করবে।

এলাকাভিত্তিক ভাবে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে যে দল গঠন করা হয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে। ‘সিল’ করা এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। 

কলকাতা পুরসভার ওয়ার্ড প্রতি একজন করে সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০ থেকে ৪০০টি বাড়িসমেত এলাকাতেও একজন করে অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বস্তি এবং ঘিঞ্জি এলাকায়। 

এ দিকে দেশজুড়ে রোজ যেখানে গড়ে হাজারখানেক লোক সংক্রমিত হচ্ছেন, তখন আংশিক ছাড় চালু করার পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে শনিবার বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

পরে মন্ত্রণালয় জানায়, হটস্পট এলাকার বাইরে, বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে অর্থনৈতিক কাজকর্ম খানিকটা শুরু করতে হবে। তার জন্য কোথাও যদি শ্রমিকদের অন্য জায়গা থেকে আনতে বা পাঠাতে হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে জেলাশাসককে। শ্রমিকদের যাতায়াত কেবলমাত্র রাজ্যের মধ্যেই হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পসংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। 

এআই/