বেনাপোলে ফেনসিডিল নিতে এসে বরিশালের শিক্ষক আটক
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
করোনা সংক্রমণ রোধে মোড়ে মোড়ে বিজিবির বসানো কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ফেনসিডিলের চালান পাচারের সময় বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৮২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেলসহ বরিশাল মডেল সরকারী স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার কম্পিউটার ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষক নজরুল ইসলাম সুমন (৪৪) কে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
সোমবার (২০) বেলা ১২টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার শিকড়ী বটতলা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করে বেনাপোল বিজিবি কোম্পানী সদরের সদস্যরা। আটক কলেজ শিক্ষক নজরুল পটুয়াখালি জেলার বাউফল থানার বটকাজল গ্রামের মকবুল আহমেদ তালকিদারের ছেলে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বেনাপোল সীমান্তের শিকড়ী বটতলা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলসহ সুমনকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে থাকা একটি স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে ৮২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তিনি পুটখালী সীমান্ত থেকে ফেনসিডিলের এ চালানটি নিয়ে বরিশালে যাচ্ছিলেন বলে বিজিবিকে জানায়।
আটক নজরুল ইসলাম সুমন জানান, তারা ৬ জন বরিশাল থেকে মোটরসাইকেলে করে বেনাপোলে এসে ফেনসিডিল নিয়ে বরিশাল যাচ্ছিলো। তার ৫ সহযোগী এসময় ফেনসিডিল নিয়ে পালিয়ে গেলেও তিনি আটক হন বিজিবির হাতে। পালিয়ে যাওয়া তার সহযোগীরা হলো, বরিশাল কোতয়ালি থানার ফকিরবাড়ি রোড এলাকার বরিশাল জজ কোর্টে কর্মরত এ্যাডভোকেট আলম রশীদ লিখন (৪২), বরিশাল সদর হাসপাতালে কর্মরত ও চেম্বার বরিশাল বেঙ্গল ডায়গনেষ্টিক সেন্টার এবং হাসপাতাল রোড এলাকার ডাঃ মোঃ মিঠু (৩৫), একই থানার কাশিপুর গ্রামের ও উত্তরা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মো: ডোনা (৩৫), সিএমভি রোড এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বুলেট (৩৮) ও একই এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেন (৪০)। তারা নিয়মিত ফেনসিডিল সেবন ও বেনাপোলে এসে ফেনসিডিল নিয়ে যেত বরিশালে বলে স্বীকারও করেন।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ সেলিম রেজা জানান, একটি ফেনসিডিল পাচারচক্র বরিশাল থেকে বেনাপোলে এসে ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-২২
এদিকে, এলাকাবাসী দাবি করেন করোনার মধ্যে এভাবে ভারত থেকে ফেনসিডিল আসতে থাকলে সীমান্তে করোনা ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কারণ ভারত করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তারা সীমান্তে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
আরকে//