করোনা মোকাবেলায় নিজের বাড়ি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা ন্যান্সির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৬:৪০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিজের বাড়ি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
সোমবার একুশে টেলিভিশনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ন্যান্সির ছোট ভাই শাহরিয়া আমান সানি।
সানি জানান, নেত্রকোনায় আপুর নিজের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আছে। সেই বাড়িটি করোনা যোদ্ধাদের জন্য ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু বর্তমানে দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, সে জন্য আপু বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে করে যদি কারো উপকারে আসে তাহলে সেটিই হবে আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া।
বাড়িটি কিভাবে কাজে লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে সানি বলেন, এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মইন উল ইসলাম এর সাথে কথা হয়েছে। তিনি কিভাবে বাড়িটি কাজে লাগাবেন তা আমাদের জানাবে। আমরা বলেছি এই বাড়িটি করোনা যোদ্ধা চিকিৎসকদের থাকার জন্য কাজে লাগাতে পারেন। আবার অনেকের আইসোলেশনে জায়গা হচ্ছে না সেক্ষেত্রে তারা এই বাড়িটিকে কাজে লাগাতে পারে। এছাড়া চাইলে করোনা ভাইরাসের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকগণও এখানে থাকতে পারেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মইন উল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনায় ন্যান্সির ডুপ্লেক্স বাড়ি
কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি বলেন, আমরা একটি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছি। এই যুদ্ধ কতদিন চলবে তা কেউ বলতে পারব না। দেশের মানুষ আজ অসহায়। খাদ্যের জন্য হাহাকার, সুচিকিৎসার অভাব। এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা যারা স্বাবলম্বী আছি তাদের সবারই এগিয়ে আসা উচিত।
হঠাৎ কেন বাড়ি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যান্সি বলেন, আমার নিজের অনুশোচনার জায়গা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শুধু বাড়ি না, আমার গাড়িটা পর্যন্ত দিয়েছি এই মানবতার সেবায়। এই দুঃসময়ে যদি আমরা মানবিক না হই, তাহলে তো আমরা মনুষ্যত্বহীন মানুষে গণ্য হবো।
যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ততদিন বাড়িটি করোনা যোদ্ধারা ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান ন্যান্সি।
প্রসঙ্গত, নেত্রকোনায় মোট ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে জেলার বারহাট্রা উপজেলায় ১০ জন, নেত্রকোনা সদরে ৪ জন, খালিয়াজুরী উপজেলা ৪ জন, কন্দেুয়া উপজেলায় ১ জন, মোহনগন্জ উপজেলায় ২ জন, কলমাকান্দা উপজেলায় ২জন ও আটপাড়া উপজেলায় ১ জন।
এমবি//