জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নে ত্রাণসহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও স্যোসাল মিডিয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন উর রশীদ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
জানা যায়, সরকারি ত্রাণ ভোগ করার পরও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার এবং মিথ্যাচার যাচাই না করেই সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করার কারণে জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসব মিথ্যাচারের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরন উর রশীদ জানান, আমার ইউনিয়নে জয়নাল নামে একজন দরিদ্র লোক সে সবসময় সরকারি সকল ত্রাণ পেয়ে আসছে। গত ৮ই এপ্রিল সরকারের তরফ থেকে ওমেক্স ১০ টাকা ধরে ৩০ কেজি চাল পেয়েছে জয়নাল। ওমেক্সের এই চালের সুবিধা সারাবছরই ভোগ করে আসছে জয়নাল। তাছাড়া আমি এবং আমাদের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম ব্যক্তিগতভাবে জয়নালকে সর্বদা সাহায্য সহযোগীতা করে আসছি। করোনা সংকট মোকাবেলায় গত ১০.০৪.২০ইং তারিখে ইউনিয়নের কর্মহীন-অসহায় ও দরিদ্র লোকজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে জয়নালের মেয়ে শুকিয়া বেগমও আমাদের এমপি মহোদয়ের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ত্রাণ সহযোগিতা পেয়েছে।
কিন্তু সরকারি সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা জয়নাল ও তার পরিবার ভোগ করার পরও তৃতীয় পক্ষের উস্কানিতে সম্প্রতি একটি ভিডিও রেকর্ড করে স্যোসাল মিডিয়াসহ ইউটিউবে প্রকাশ করে যে সরকারি কোন ত্রাণ এমপি মহোদয়ের পক্ষ থেকে ও চেয়ারম্যান- মেম্বারের মাধ্যমে সে পায় নাই।
উক্ত ভিডিও জামাত শিবিরের আশির্বাদপুষ্ঠ হোসাইন মাহমুদ নামে একজন ইউটিউবার ভূয়া অখ্যাত অনলাইন পত্রিকায় এবং অনুমোদন বিহীন একটা অনলাইনে চ্যানেলে কোনোরকম সত্যতা যাচাই না করেই প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে আমার দৃষ্ঠিগোচর হলে আমি স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম মহোদয়ের সাথে কথা বলি। তিনি সাথে সাথে ওই এলাকার জনগণের জন্য আরো কিছু ত্রাণ পাঠান।
তবে অভিযুক্ত জয়নালের ত্রাণ পেয়েও না পাওয়ার মিথ্যাচার এবং হোসাইন মাহমুদ নামের ইউটিউবারের এমন মিথ্যা অপপ্রচারের ফলে এইচ এম ইব্রাহীম এমপি সহ বর্তমান সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করেন চেয়ারম্যান মিরন উর রশীদ।
এ বিষয়ে এইচ ইব্রাহীম এমপির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী ১ আসন (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বাড়ী বাড়ী গিয়ে তার স্বেচ্ছাসেবকরা ত্রাণ সহযোগিতা পৌছে দিয়েছেন, বজরার ওই এলাকায়ও আমার ত্রাণ সাধারণ জনগণ পেয়েছে। যারা এখনো পায় নি তাদের নাম লিষ্ট করে পরবর্তী ধাপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে কিছু ব্যক্তি ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করার জন্য আমার এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার রটাচ্ছে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরকে//