ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ

আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের জিডি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৪৮ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৫১ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার

জিডির কপি ও ডা. আব্দুন নূর তুষার

জিডির কপি ও ডা. আব্দুন নূর তুষার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নিয়ে ফেসবুকে কটাক্ষ করায় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এই জিডি করেন। 

জিডিতে ডা. আবদুন নূর তুষার (৫০), রাজিয়া কবির (৩৭) ও রিপন খাঁন (৪০) নাম উল্লেখ করে এই তিনজনের ফেসবুকে দেয়া পোস্ট শেয়ারকারী অজ্ঞাতনামা আরো ৬৩৬ জনকে আসামি করা হয়। 

জিডিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘আজ ২০-০৪-২০২০ ইং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়ায় করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। সামাজিক দূরত্বের নমুনা দেখুন। পুরো দেশটাই “বি-বাড়িয়া বলদ বাড়িয়া”।’ ডা. তুষার কোনো কারণ ব্যতিত এবং অনুল্লেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বি-বাড়িয়া মর্মে বিকৃত উচ্চারণে উপস্থাপন করে আইন ভঙ্গ করেছেন বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়। 

এজহারে আরো বলা হয়, ডা. তুষারের পোস্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩২ লাখ মানুষের মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা উস্কে দেয়া হয়। এই পোস্টের কারণে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তানরা বিবাদ ও কলহের সম্মুখীন হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন ডা. তুষার। 

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ বি-বাড়িয়াকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য উল্লেখ করে। 

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আসামিদের এই অপকর্মে সমগ্র জেলাবাসীর মতো আমিও অপমানিত ও মর্মাহত হয়েছি। “বলদ বাড়িয়া” বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লাখ মানুষকে অপমান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য জেলার মানুষের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান জিডির কথা স্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তাকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।

এনএস/