ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ডিসি-ইউএনও খাবার নিয়ে গেলেন ধান খেতে

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০৯ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

দেশের বিশাল চলনবিল বর্ষা মৌসুমে চারিদিকে পানি থৈ থৈ করে। সমুদ্রের মত বড় বড় ঢেড় আছড়ে পড়ে তীরে। আর এখন চলনবিলের বিস্তির্ন মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন  বোরো ধান। ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি থাকলেও করোনা পরিস্থিতিতে সেই স্বপ্ন ভাঙতে বসেছে। শ্রমিক সংকটে ঘরে ফসল তুলতে না পারার শংকা তাদের পেয়ে বসেছিল। এ অবস্থায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ কৃষি বিভাগ  ফসল ঘরে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রশাসন। 

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে শ্রমিকদের মাঠে পাঠানো হয়েছে। তবে শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েই থেমে নেই নাটোরের গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেন। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ধানের জমিতে গিয়ে প্রত্যেক কৃষককে দেওয়া হচ্ছে খাবার স্যালাইন, লেবু, মুড়ি, পানির বোতল, সাবান, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজকে সাথে নিয়ে ইউএনও তমাল হোসেন উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের চলনবিলের রুহাই মাঠে গিয়ে কৃষকদের মাঝে ওই খাবার বিতরণ করেন। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল করিম উপস্থিত ছিলেন। 

কৃষক জামাল হোসেন ও রবিউল ইসলাসহ প্রায় ১০ জন জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটার জন্য এখন পর্যাপ্ত শ্রমিকও রয়েছে। ছিলো না শুধু বাসস্থান এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে। বাসস্থান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, খাবার সামগ্রী প্রদান করে আমাদের কাজে উৎসাহিত করেছে। এখন আমরা নির্বিঘেœ ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবো।

নাটোর জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ বলেন, কৃষকদের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। তবে গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল 

আরকে//