ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দু’বছরেও শেষ হয়নি মুক্তমনা লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত

প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১২:৩৫ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার

দু’বছরেও শেষ হয়নি মুক্তমনা লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক জঙ্গি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। আল কায়দা দায় স্বীকার করলেও নির্দেশদাতা, পরিকল্পনাকারী ও সরাসরি জড়িত আরো ৬ জন এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। লেখক-ব্লগারদের হত্যা ও হত্যা চেষ্টার তদন্ত এবং বিচার বিলম্বিত হলে মুক্তবুদ্ধি চর্চা বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়। দুই বছর আগে এই দিনে একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবেশের আগে থেকেই খুনিদের নজরদারিতে ছিলেন অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ। রাত পৌনে নয়টার দিকে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর টিএসসি এলাকায় দুই যুবক চাপাতি দিয়ে পেছন থেকে অভিজিৎ ও রাফিদার ওপর হামলা চালায়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসকরা অভিজিৎকে মৃত ঘোষণা করেন। মার্কিন নাগরিক হওয়ায় অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্তে সহায়তা করতে ঢাকা আসে এফবিআইএর একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত পাঠানো হয় এফবিআইএর ল্যাবে। পরীক্ষায় পাওয়া যায় খুনিদের ডিএনএ নমুনা। হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের সামরিক শাখার কমান্ডার বরখাস্ত মেজর জিয়া ও পরিকল্পনাকারী সেলিম এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। অভিজিৎকে কেন খুন করা হয়েছে আর খুনিদের উদ্দেশ্যই বা কি তা নিয়ে কথা বলেন, বাবা অধ্যাপক অজয় রায়। অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ২৭ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই দিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করছেন অভিজিতের বাবা।