ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সেনবাগে চাল আত্মসাৎ, আ’লীগের ২ নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:১৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৮:১৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

মো. শাহজাহান সাজু ও ইসমাইল হোসেন খান

মো. শাহজাহান সাজু ও ইসমাইল হোসেন খান

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে গরিবের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি চাল আত্মসাতের দায়ে গ্রেফতার হওয়া দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মহিউদ্দিন টুকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বহিষ্কৃতরা হলেন- সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান সাজু ও তার সহকারী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন খান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সম্প্রতি অসহায় মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগে নবীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন খানকে সকল সংগঠনের সকল দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সেখানে আরও বলা হয়, দল থেকে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে গত ২১ এপ্রিল সেনবাগ থানায় মামলা হয়। মামলা নং ১২। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে সেনবাগ থানা পুলিশ।

এর আগে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়ন থেকে তাদের আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানতে পারেন, উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা মূল্যের চাল সুবিধাভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে উচ্চমূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন ডিলার মো. শাহজাহান ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেন। ওই খবরের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষেমালিকা চাকমা এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অচিন্ত্য চাকমাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খাদ্য কর্মকর্তা নবীপুর ইউনিয়নের বড় চারিগাঁও গ্রামের ৮টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৫ বস্তা চাল ও ৩টি খালি বস্তা উদ্ধার করেন।

অভিযানের পর সহকারী কমিশনার ক্ষেমালিকা চাকমা বলেছিলেন, যেসব বাড়ি থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, ওই সব বাড়ির বাসিন্দারা কেউই ১০ টাকা কেজির চালের সুবিধাভোগী ছিলেন না। তারা জানিয়েছেন, তারা ওই চালগুলো প্রতি বস্তা ৯০০-৯৫০ টাকা দরে ডিলার মো. শাহজাহান ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে কিনেছেন।

এনএস/