ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইতালিতে ৫০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৪ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০১:৪৬ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার

করোনাভাইরাস মহামারীতে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত লোম্বার্দিয়ায়ও কমেছে মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে দেশব্যাপী নতুন সংক্রমণের হার একটানা আট দিন ধরে কমছে। 

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির একটি বিভাগীয় অঞ্চলে একজন ও আরও ৬টি অঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণে সংখ্যা দশের নিচে। বৃদ্ধি পেয়েছে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও। 

ইতালির নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে এক হাজার ৮০৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ২ হাজার ৩২৪ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৬০ জনের, যা ৫০ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত ৭ মার্চের পর ইতালিতে এটিই একদিনে সর্বনিম্ন মৃত্যু। ওই দিন দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ২৩৩ জনের। এরপরের দিন ৮ মার্চ মৃত্যু হয় ৩৬৬ জনের। এটি বাড়তে বাড়তে ২৭ মার্চ একদিনে সর্বোচ্চ ৯৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। 

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির লোম্বার্দিয়া অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৬ জন, যা ৫০ দিনে সর্বনিম্ন। এর আগের দিন শনিবার লোম্বর্দিয়ায় মারা যায় ১৬৩ জন। 

রোববার দেশটির সব বিভাগীয় শহরে নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার হার কমেছে। এর মধ্যে কালাব্রিয়া বিভাগীয় অঞ্চলে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে একজন। এছাড়া বিভাগীয় শহর উমব্রিয়ায় ২ জন, মলিসে ৪ জন, বোলজানো এবং বাসিলিকাতায় ৫ জন, ভাল্লে ডি আওস্তায় ৬ জন এবং সার্দেনিয়ায় ৯ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে লোম্বার্দিয়ায় ৯২০ জন, পিয়েমন্তে ৩৯৪ জন, এমিলিয়া রোমানিয়ায় ২৪১ জন, ভেনেতোতে ৮০ জন, তোছকানায় ১৩২ জন, লিগুরিয়ায় ১৮৭ জন, লাছিওতে ৮৫ জন, মার্কে ৫৩ জন, পুলিয়ায় ৩২ জন, ত্রেনতোতে ৫৬ জন, সিসিলিয়ায় ৩৫ জন, ফ্রিউলিতে ১৪ জন এবং আবরুচ্ছোতে ২৭ জন। 

সর্বশেষ হিসাবে, ইতালিতে রোববার পর্যন্ত ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে ৬৪ হাজার ৯২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪৪ জনের। বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসাধীন আছে এক লাখ ৬ হাজার ১০৩ জন, যাদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে ২ হাজার ৯ জন।

এমবি//