সৌদিতে স্থগিত হচ্ছে কিশোর অপরাধের মৃত্যুদণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
গত বছর সৌদি আরবে ১৮৪ জন মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে- বিবিসি
সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, কিশোর অবস্থায় করা অপরাধের জন্য দেশটি আর কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেবে না। দেশটিতে দোররা মারা নিষিদ্ধ করার দুই দিন পর বাদশাহ সালমানের জারি করা এক ডিক্রিকে (ফরমান) উদ্ধৃত করে এই ঘোষণা এলো। জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক সনদে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া যাবে না, এই সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর একটি সৌদি আরব। মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড যেসব দেশের সৌদি আরব তাদের একটি। খবর বিবিসি’র।
সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা চরমভাবে হরণ করা হয়েছে, এবং সরকারের সমালোচনা করার জন্য নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশটিতে রেকর্ড ১৮৪ জন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত একজন রয়েছেন যিনি কিশোর অবস্থায় করা অপরাধের জন্য সাজা পেয়েছেন। রোববার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের সরকার সমর্থিত মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি আওয়াদ আলাওয়াদ বলেছেন, এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে কিশোর অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে।
তার বদলে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে। আলাওয়াদ বলেছেন, ‘এই ডিক্রির মাধ্যমে আমরা আরো আধুনিক দণ্ডবিধি প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।’ দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে এই খবরটি প্রচার করা হয়নি। কবে থেকে নতুন আইন চালু হবে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। সৌদি আরবের মানবাধিকার রিপোর্ট এখনো কঠোর রাষ্ট্রীয় বিশ্লেষণের পর প্রকাশিত হয়।
যদিও ২০১৮ সালে ইস্তানবুলে সৌদি কনসুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার পর সম্প্রতি পরিস্থিতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এখনো দেশটিতে বহু নাগরিক অধিকার এবং নারী অধিকার কর্মীকে জেল খাটতে হচ্ছে। এ সপ্তাহের শুরুতে সৌদি আরবের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার কর্মী কারাগারে স্ট্রোক করে মারা গেছেন। দেশটির মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ আবদুল্লাহ আল-হামিদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব না দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এমএস/