ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ইতালিতে লকডাউন শিথিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে এখনো পুরোপুরি মুক্তি না মিললেও চলমান লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি। যা আগামী ৪ মে থেকে কার্যকরী হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে।

আজ সোমবার কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। এর ফলে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।

তবে আপাতত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে খাবারের হোম ডেলিভারি আরও বৃদ্ধি করতে চায় দেশটির সরকার।

এ ছাড়া ১৮ মে থেকে বাণিজ্যিক কিছু অংশ, প্রদর্শনী, জাদুঘর, প্রশিক্ষণ টিম, ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং গ্রন্থাগার খোলার ঘোষণা করা হয়। ১ জুন থেকে রেস্টুরেন্ট, বার, সেলুন, ম্যাসাজ সেন্টার খোলার ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব কিছু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তবে, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি ভালো না হওয়ায় আগামী সেপ্টেম্বরেও স্কুলগুলো খোলা সম্ভব হচ্ছে না ‘

তিনি বলেন,‘শিথিলের অর্থ এ নয় যে, একজন আরেকজনের বাসায় বেড়াতে যাবেন। মৃতুর হার শূন্যে আনা এখনই সম্ভব নয়, যতদিন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হয়।’

অন্যদিকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বাস ও রাস্তাসহ প্রতিটি কর্মস্থলে। কর্মহীনদের প্রথম ধাপে ৬০০ ও পরে ৩০০ ইউরো দেন বোনাসের মাধ্যমে। তা ছাড়া বাসা ভাড়ার জন্য ৪০ শতাংশ আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৫ জন মানুষ করোনার শিকার হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৬৪৪ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৬০ জন, যা গত ৫০ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যুর হার। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। 

এদিকে, একইপথে আগাচ্ছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনও। দেশটিতে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনা। গত একদিনে সেখানে ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা, গত একমাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।

এমন অবস্থায় সেখানে আগামী ৯ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকলেও যদিও ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি সামান্য বাড়লেও ফের কড়াকড়ি আরোপ করা হবে বলে জানায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। 

ইতিমধ্যে ১৪ বছরের নিচে শিশুদের বাইরে খেলাধুলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিধি নিষেধের মধ্যেও চলছে কন্সট্রাকশন উৎপাদনের কাজ। পরিস্থিতি আরও ইতিবাচক হলে খুলে দেয়া হতে পারে অন্যান্য কর্মক্ষেত্র। 

এআই/