সিন্ডিকেটের কারণে খেজুরের দাম চড়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
রমজানকে ঘিরে সিন্ডিকেটের কারনে খেজুরের দাম প্যাকেট প্রতি ৮০০ টাকা বেড়েছে। নজরদারির অভাবে আমদানিকারকরা এমন সুযোগ নিয়েছে। সর্বশেষ তিন দিনে তারা কারসাজি করে পাইকারি আড়তে প্রতি প্যাকেটে (৫ কেজি) খেজুরে দাম বাড়িয়েছে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। এতে পর্যাপ্ত মজুদের পরও রমজান ঘিরে খুচরা বাজারে ভোক্তাকে বেশি দামেই খেজুর কিনতে হচ্ছে।
জানা যায়, রাজধানীর পাইকারি ফলের আড়ত বাদামতলীর খেজুরের আড়তে গত তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি প্যাকেট (৫ কেজি) মরিয়ম প্রিমিয়াম খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা। এছাড়া প্রিমিয়াম ছাড়া প্রতি পাঁচ কেজির প্যাকেটে পাইকারি দরে মরিয়ম খেজুরে দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০০ টাকা। মাবরুর খেজুরে প্রতি প্যাকেটে (৫ কেজি) দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০-৫৫০ টাকা। বড় আকারের ম্যাডজুল খেজুরের পাঁচ কেজির প্যাকেটে তিন দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা। মাঝারি আকারের ম্যাডজুল খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪০০ টাকা। ছয় কেজি ওজনের আজোয়া খেজুরে তিন দিনে দাম বাড়ানো হয়েছে ৮০০ টাকা। ছুফরি খেজুরে পাঁচ কেজিতে তিন দিনে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩০০ টাকা। দাবাস ক্রাউন খেজুরে পাঁচ কেজিতে সাত দিনের ব্যবধানে ৮০০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। নিম্নমানের ভেঁজা খেজুরের দামও কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘মরিটরিংয়ের মাধ্যমে পেঁয়াজ, আদা-রসুনের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে। খেজুরের দামও নিয়ন্ত্রণে আসবে। অধিদফতরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হবে। আমদানি মূল্য যাচাই করা হবে। এ সময় পরিবহন খরচসহ যৌক্তিক বিক্রয় মূল্য না পেলে ও বাজার তদারকিকালে কোনো অনিয়ম পেলেই কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
এমএস/