ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যূর অভিযোগ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২০ সোমবার

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের ক্লাসিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের অবহেলা ও ভুল ইনজেকশনে ফজিলা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনেরা।

সোমবার দুপুরে ঘটনার পর চিকিৎসকসহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন পালিয়ে যায়। এরপর নিহতের আত্মীয়-স্বজনেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিচার দাবি জানাই।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সদর উপজেলার দুলাল হোসেনের স্ত্রী ফজিলা বেগম শারীরিক সমস্যা নিয়ে গত শুক্রবার শহরের ক্লাসিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। সোমবার সকালে আবারও অসুস্থ বোধ করলে পরিবারের লোকজন ফজিলা বেগমকে নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছে যান। এসময় চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম রোগীর লোকজনকে দোকান থেকে একটি ইনজেকশন কিনে আনতে বলেন। পরে ওই ইনজেকশনটি গৃহবধূর শরীরে পুশ করলে ছটফট করে রক্তবমি করতে থাকেন।  

এই অবস্থায় চিকিৎসক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সদস্যদের দিয়ে কৌশলে রোগীকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অসুস্থ গৃহবধূকে চিকিৎসা দেয়ার আগেই তিনি মারা যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তওসীফ বিন মামুন জানান।
 
এ সময় রোগীর স্বজনরা হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। ঘটনার পর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বতাধিকারী ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম ও তার লোকজন প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে রোগীর স্বজনরা ডাঃ জাহাঙ্গীরের আলমের উপযুক্ত বিচার দাবি করে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। 

এ বিষয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বতাধিকারী ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 
    
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সী মেডিক্যাল অফিসার তওসীফ বিন মামুন জানান, রোগী হাসপাতালের আসার আগেই মারা গেছে। তখন আমাদের কিছু করার ছিল না। তার চিকিৎসায় ঘটতি ছিল বলেই হয়তো ফজিলা বেগম মারা গেছেন।           

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম একজন চিকিৎসকের অবহেলায় ফজিলা বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যূর খবর তিনি পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান। অভিযোগ পেলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
কেআই/