জয়পুরহাটে করোনা শনাক্ত আরো ৯ জন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০ বুধবার
জয়পুরহাট ম্যাপ
জয়পুরহাটে একদিনে আরো ৯ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জনে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে পাঠানো রিপোর্টে জয়পুরহাটের ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭১ জনের নমুনা নেগেটিভ আসলেও ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা: সেলিম মিঞা।
তিনি জানান, আক্রান্ত ৯ জন কালাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরার পর তাদের সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তারা কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা জানতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠায়। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা থেকে জেলায় ১৮০ জনের রিপোর্ট আসলে সেখানে তাদের ৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্তদের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের বয়স যথাক্রমে- ৩২, ১৪, ২২, ২৫, ৪০, ৪০, ২৭, ২৪ ও ১৯।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলায় মোট ২৮ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে কালাই উপজেলারই রয়েছে ২২ জন। এছাড়া পাঁচবিবি উপজেলার ২ জন, আক্কেলপুর উপজেলার ২ জন ও ক্ষেতলাল উপজেলার ২ জন। জয়পুরহাট সদর উপজেলায় এখনো কেউ শনাক্ত হয়নি।
জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলায় করোনা সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১১৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে, যার মধ্যে ৭০৭ জনের টেস্ট রেজাল্ট পাওয়া গেছে। এরমধ্যে মোট ২৮ জনের নমুনা পজেটিভ পাওয়া গেছে এবং ৭০৪টি নমুনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাতিল করা হয়েছে ৫টি নমুনা এবং পেন্ডিং আছে আরো ৪০৫ জনের। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন মোট ১৭৬০ জন। কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন মোট ৬৯৩ জন। জেলায় বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন মোট ১০৬৭ জন।
জয়পুরহাট জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে যারা জয়পুরহাট জেলায় আসছেন তাদের সবার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ছোট জেলা হলেও সর্বাধিক টেস্ট করা হচ্ছে এ কারণে শনাক্ত বেশি হচ্ছে। জেলায় করোনাভাইরাসে সরকারি ৪টি চিকিৎসা কেন্দ্রে মোট ২৪০টি বেডের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ২১৪টি বেড। করোনা চিকিৎসা কাজে জেলায় ১৪ জন ডাক্তার এবং ১৪ জন নার্স প্রস্তুত রয়েছেন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মজুদ রয়েছে ২৬৭১ সেট ও বিতরণ করা হয়েছে ২২৭৩ সেট।
এনএস/