বাজু হালদার
শেখ মোহাম্মদ হাসানূর কবীর
প্রকাশিত : ০৮:২১ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০২০ বুধবার
পড়াশোনা শেষ করে এক অজ পাড়াগাঁয়ের কলেজে যোগদান করলাম। প্রথম দিকে আমার ইচ্ছে ছিলনা মাস্টারি করার, কিন্তু অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজনের পুঃন পুঃন অনুরোধ এবং চাকরির বর্তমান দুরবস্থা বিবেচনা করে অবশেষে রাজি হলাম। ঢাকা থেকে দুর্গাপুর হয়ে আরও প্রায় কুড়ি মাইল পথ নৌকাযোগে পেরিয়ে অবশেষে কলেজটিতে পৌঁছলাম। কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় আগে থেকেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সালাম দিয়ে হাত বাড়িয়ে বললাম, আমি শফিউল আযম। ঢাকা থেকে এসেছি।
শেখ মোহাম্মদ হাসানূর কবীর
হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি ; বলেই অধ্যক্ষ মহোদয় হাতটি মুঠোর মধ্যে নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝাঁকুনি দিয়ে বললেন, আমি আবদুল হাকিম মোল্লা ; কলেজের এ্যাক্টিং অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ মহোদয়কে প্রথম দেখেই খুব হাসি খুশি ভালো মনের মানুষ মনে হলো আমার কাছে। তিনি একগাল হেসে আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। তখন বর্ষা সবে শুরু হয়েছে। গ্রীষ্মের তাণ্ডব পুরোপুরি শেষ হয়নি। আমার সমস্ত শরীর ঘেমে একাকার। ঘর্মসিক্ত শরীর থেকে একরকম উৎকট গন্ধ বেরুচ্ছে। আমি কিছুটা বিব্রত হলাম, কিন্তু অধ্যক্ষ মহোদয়ের সেদিকে কোনো ভ্রক্ষেপ নেই ; যেন দীর্ঘকাল নিরুদ্দেশ থাকার পর আজ তাঁর প্রবাসী ভাইটিকে তিনি কাছে পেয়েছেন।
কলেজের নাম আলীপুর কলেজ। গ্রামের নামেই কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা একটি চারচালা টিনের ঘর। অধ্যক্ষ মহোদয়ের কক্ষটি কাঠ আর টিন দিয়ে নির্মিত দোতলা। তিনি নিচ তলাটি তার অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেন। চারদিকে জলাভূমিবেষ্টিত হলেও কলেজের সামনে রয়েছে প্রকাণ্ড একটি মাঠ। মাঠটিকে পরিত্যক্ত বলা যায়, কারণ সমস্ত মাঠ জুড়ে রয়েছে দশ-পনেরটি বিস্তৃত বট-অশ্বত্থের গাছ। বয়সের ভারে গাছগুলো নোয়ে পড়েছে। ডালগুলো থেকে মোটা ঝুরি নেমে এসেছে মাটিতে।
অধ্যক্ষ মহোদয় ছিলেন বেশ আন্তরিক। তিনি কলেজের গার্ড সাজু হালদারকে ডাকলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সাজু হালদার এসে উপস্থিত হলো। দেখতে ভীষণ ভয়ঙ্কর লাগছিল লোকটিকে। বয়স ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর হবে। লোকটিকে দেখে মনে হলো, কলেজের পাহারাদার না হয়ে লোকটি ডাকাত দলের সর্দার হলে মানাত বেশ। অধ্যক্ষ মহোদয় সাজু হালদারকে আমার মালপত্রগুলো তাঁর অফিসকক্ষে নিয়ে গুছিয়ে রাখতে বলে আমাকে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হলেন। কলেজ থেকে নৌকায় প্রায় আধঘণ্টা যাওয়ার পর অবশেষে আলীপুর গ্রামের প্রান্তভাগে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বাড়িতে পৌঁছলাম। স্যারের বাড়িতে সাময়িকভাবে আমার থাকার বন্দোবস্ত হলো।
পরদিন পূবাহ্ণে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সঙ্গে কলেজে উপস্থিত হলাম। স্যার তাঁর অফিসকক্ষে আমাকে বসতে বললেন। সবাইকে ডেকে এনে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ক্লাসে নিয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের খুব গর্বভরে বললেন, তোমাদের নতুন বাংলা স্যার, শফিউল আযম। ঢাকা থেকে এসেছেন। এমন বাংলা শিক্ষক এ তল্লাটে পাবে না। তোমরা নেহায়েত ভাগ্যবান বলে এমন শিক্ষক তোমাদের কপালে জোটেছে। ছাত্রছাত্রীরা আমার দিকে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে তাকাচ্ছিল। নিজের উপস্থিতিতে, নিজের এরূপ সুখ্যাতি শোনে আমি খুব সংকোচ বোধ করলাম।
ছুটির ঘণ্টাপড়লে একে একে সবাই বাড়ি চলে গেল। অধ্যক্ষের কক্ষে অধ্যক্ষ মহোদয় আর আমি রয়ে গেলাম। আর অনতি দূরেই গাছের নিচে বেঞ্চে বসে রইল কলেজের সেই কালাপাহাড়সদৃশ গার্ড সাজু হালদার। আলাপচারিতার একপর্যায়ে অধ্যক্ষ মহোদয় বললেন, আপনার থাকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। আমি অত্যন্ত বিনীত ভঙ্গিতে বললাম, ভাবনার কি আছে, স্যার ? আমি যে কোনো জায়গায় থাকতে পারবো।
স্যার যেন হাঁফছেড়ে বাঁচলেন। একটু দম নিয়ে বললেন, কলেজে থাকতে পারবেন ?
এখানে দোতলার কক্ষটি খালি পড়ে আছে ।
আমি খানিকটা ভয়পেয়ে গেলাম। বললাম, এই নির্জন জায়গায় একা থাকা সম্ভব, স্যার ?
অধ্যক্ষ মহোদয় কিছুটা আশাহত হলেন, বললেন, আপনি একা থাকবেন কেন, সাথে আমাদের গার্ড সাজু হালদার থাকবে।
ও তো দিনরাত এখানেই পড়ে থাকে। বিয়ে-থা করেনি। রান্নার কাজও মোটামোটি জানে।
যদিও লোকটি দেখতে ভীতিকর, তবু নিরুপায় হয়ে আমি স্যারের প্রস্তাবে সম্মত হলাম। সম্মত হওয়ার আরেকটি কারণ ছিল ; সেটি হলো, জায়গাটা ছিলো অত্যন্ত মনোরম। এরকম নিসর্গের স্বাদ ঢাকায় কখনো পাইনি। স্যার সাজু হালদারকে ডেকে আমার থাকার ঘরটি গুছিয়ে রাখতে বললেন এবং আমার বিষয়ে সমস্ত দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিলেন।
পরদিন থেকে আমার নির্জনবাস শুরু হলো। বছর খানেক ভালোই কাটলো। সাজু হালদার লোকটাকে যেরকম ভেবেছিলাম, বাস্তবে দেখলাম সে খুব নরম আর চাপা স্বভাবের। বিকেল বেলা গাঙের ধারের বটগাছটির নিচে বসি। বটের পুরনো মোটা শিকড়ে বসে গাঙের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করি। সাজু হালদার মাঝে মধ্যে আমার সাথে বসে থাকে। কোনো কথা বলেনা। সবসময় মন খারাপ করে থাকে। কিসের এমন দুঃখ ওর, তাও কখনো বলেনি।
দেখতে দেখতে কয়েক বছর কেটে গেল। বেশকিছু সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ দিলাম, কিছু হলো না। আলীপুর কলেজের উপর একটা মায়া পড়ে গেল ; সেই সাথে সাজু হালদারের উপরও । লোকটির সততা, দায়িত্বশীলতা এবং কাজের প্রতি একাগ্রতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, অথচ এতোটা বছরেও আমি ওর ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক কোনো বিষয়েই কিছু জানতে পারিনি। কখনো ওর পারিবারিক বিষয়ে জানতে চাইলে চুপ করে থেকেছে কিংবা আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। অনেক সময় মনে হয়েছে, অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছ থেকে সাজু হালদারের পারিবারিক বিষয়ে জেনে নিলে কেমন হয়, পরক্ষণেই মনে হয়েছে, স্যারকে এসব ছোটখাট বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে স্যার হয়তো বিরক্ত হবেন। অন্যকাউকে জিজ্ঞেস করবো, সে ভরসা পাইনি, কারণ সাজু হালদার এতো তুচ্ছ মানুষ ছিল যে, ওর সম্পর্কে কারোরি কোনো আগ্রহ ছিলনা।
সুতরাং সাজু হালদার আমার নিকট দুর্ভেদ্য রহস্যময় মানুষ হিসেবেই রয়ে গেল।
একদিন হঠাৎ সরকারি খামে একটি চিঠি পেলাম। আমার চাকরি হয়েছে। খুব অল্পসময়ের মধ্যে যোগদান করতে হবে।
কথাটা অধ্যক্ষ মহোদয়কে বললাম, তিনি খবরটি শুনে খুব খুশি হলেন। আমার সহকর্মীদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা হলো। বিদায়ের দিন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিষাদের ছায়া নেমে এলো। কেবল একটি প্রাণীর মনোভাব বুঝতে পারলাম না।
রাতে সাজু হালদারকে জিজ্ঞেস করলাম, সাজু, শুনেছ আমার নতুন চাকরি হয়েছে ? আমি চলে যাচ্ছি।
সে ভালো-মন্দ কিছু বললো না। আমি তাকে পুনরায় বললাম, আমি চলে গেলে তোমার কষ্ট হবে না, সাজু ? এতোটা দিন আমার সাথে ছিলে।
সাজু হালদার এবারও কিছু বলল না। নিরাসক্ত দৃষ্টিতে কেবল আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। সাজুকে একটা চরম নিমক হারাম অমানুষ মনে হলো আমার কাছে।
পরদিন কলেজ ছেড়ে চলে যাবার পূর্বক্ষণে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে দেখা করতে গেলাম। স্যারকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানোর পর সাজু হালদার সম্পর্কে আমার কৌতূহলের বিষয়টি স্যারকে বললাম। স্যার কিছুক্ষণ আমার দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন। ভাবলাম, কথাটা বলা ঠিক হয়নি।
সরি, স্যার।
না ঠিক আছে, শফিউল আযম সাহেব। আমি কিছু মনে করিনি। সাজু হালদার সম্পর্কে আপনাকে অনেক আগেই
সবকিছু খুলে বলা উচিত ছিল, কিন্তু ব্যাপারটি আমার মাথায় আসেনি।
সাজু হালদারের জীবনটা খুব ট্র্যাজিক বলতে পারেন। জীবনে ছেলেটা অনেক কষ্ট পেয়েছে, লাঞ্ছিত হয়েছে, বঞ্চনার
শিকার হয়েছে। আস্তে আস্তে ছেলেটি পাথরের মতন শক্ত
হয়ে গেছে। এখন ভালোবাসা, আনন্দ, দুঃখ, পাওয়া-না পাওয়া কোনোটাই তাকে ভাবিয়ে তোলে না।
আলীপুর গ্রামে সাজু হালদারের আপনার বলতে তেমন কেউ নেই। একটা মা ছিল তাও গলায় দঁড়ি দিয়ে মরে গেছে অনেক দিন আগে। সাজু হালদারের বাবা বাজু হালদার গ্রামের স্বচ্ছল গৃহস্থ ছিল। বাজু হালদার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। একাত্তরের ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার আহবান রেডিওতে শুনে বাজু হালদার দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়। বাড়িতে ছুটে গিয়ে বাজু যুদ্ধে যাওয়ার তার ইচ্ছার কথাটা স্ত্রী মায়মুনকে বলে। মায়মুন বাজুকে বাধা দেয় না। বাজুর দায়িত্ব পড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিংয়ের জন্য আলীপুর থেকে নৌকা দিয়ে ওপারে পৌঁছে দেয়ার। বিষয়টি স্থানীয় কিছু রাজাকার জানতে পেরে পাকিস্তানি মিলিটারিদের বলে দেয়। বাজু হালদারকে পাকিস্তানি মিলিটারিরা নির্মম ভাবে হত্যা করে আলীপুর কলেজের পিছনে গাঙের ধারের বটগাছটাতে ঝুলিয়ে রাখে। মায়মুন তখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মায়মুনকে মিলিটারিরা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। দেশ স্বাধীন হয়। মায়মুন গাঁয়ে ফিরে
আসে। সাজুর জন্ম হয়। বাজুর শেষ ইচ্ছানুযায়ী মায়মুন ছেলের নাম রাখে সাজু হালদার, কিন্তু গাঁয়ে কানাঘুষা চলতে থাকে। নিন্দুকেরা বলাবলি করতে থাকে, সাজু পাকিস্তানি মিলিটারিদের সন্তান।
যতই দিন গড়াচ্ছিল, ততই সাজুর মায়ের উপর নিন্দুক ও সমাজপতিদের অত্যাচারের মাত্রা বাড়ছিল। এভাবে নিদারুণ কষ্ট আর অপমানের মধ্যদিয়ে প্রায় দশটি বছর কেটে গেল। তারা সাজুর নামের পাশে ভরম শব্দ জুড়ে দিয়ে ছেলেটিকে সাজু ভরম নামে সম্বোধন করতো। গ্রামের নিন্দুক ও সমাজপতিরা বুঝাতে চাইত সাজু তার মায়ের লজ্জার ফসল। স্বাধীনতাবিরোধী সমাজপতিদের দু’একজন রাতের আঁধারে সাজুর মায়ের ঘরে ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে সাজুর মায়ের নামে কুৎসা রটিয়ে সাজুর মাকে সমাজচ্যুত করে ; একঘরে করে। এতটুকু করেও এরা থামেনি, একসময় সাজুর মায়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সালিসের নামে সাজুর মাকে ন্যাড়া করে গ্রাম থেকে বের করে দেয়।
সাজুর মা তার প্রতি সমাজের বৈরিতা ও সমাজপতিদের অবিচার সইতে না পেরে অবশেষে গলায় দঁড়ি দিয়ে জীবনের ইতি টানে। সাজু হালদার ক্রমে ক্রমে পরিচিত হয় সাজু ভরম নামে। ঘৃণা, প্রবঞ্চনা আর জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণায় সাজু হালদার সমাজ থেকে আলাদা হয়ে একাকী বসবাস করতে থাকে।
ছেলেটির প্রতি আমার খুব মায়া হয়। সমাজপতিদের প্রবল বাধা সত্ত্বেও ছেলেটিকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। আস্তে আস্তে সাজু বড় হয়ে ওঠে, কিন্তু সে সমাজের অন্য দশ জনের মতন স্বাভাবিক হতে পারে না। এক সময় কলেজের গার্ড হিসেবে ওকে নিয়োগ দেই। ভেবেছিলাম, আয় রোজগারের পথ পেলে ছেলেটি হয়তো নতুন করে ঘর বাঁধবে ; সংসারি হবে, কিন্তু না, সংসার সে করলো না। জীবনের প্রতি আসক্তি সে হারিয়ে ফেলেছে। ভালোবাসা কিংবা ঘৃণা সবই এখন ওর কাছে সমান।
অধ্যক্ষ মহোদয় অত্যন্ত নির্লিপ্তভাবে বাজু হালদারের পরিবারের করুণ ইতিবৃত্ত তুলেধরলেন। আমার চোখ দুটো জলে ভারী হয়ে উঠলো। চোখের নোনা জলটুকু এই প্রৌঢ়ের কাছ থেকে লুকোতে দ্রুত প্রস্থান করলাম।
স্যারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কলেজের পিছনে গাঙের ধারের বটগাছটার নিচে এসে দাঁড়ালাম। যে গাছটায় বাজু হালদারকে পাকিস্তানি মিলিটারিরা নির্মম ভাবে হত্যাকরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। দেশের স্বাধীনতার জন্য বাজু হালদারের আত্মত্যাগের বিমূর্ত চিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠল। মায়মুনের মৃত্যু, সাজুর অনিশ্চিত জীবন কিংবা ধ্বংসের অতলে হারিয়ে যাওয়া একটি ফলবতী সংসার; বাজু হালদার যুদ্ধে না গেলে হয়তো এর কোনো কিছুই তাঁকে হারাতে হতো না। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের জন্য পরম শ্রদ্ধায় আপনা আপনি আমার মাথা অবনত হয়ে এলো।
লেখকঃ শিক্ষক (বাংলা)-সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ।
এসি