আদিবাসীদের পাশে এবার ‘স্বপ্ন’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার
টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র বাজার এলাকার আশপাশে বসবাস করে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার আদিবাসী। এসব আদিবাসী মানুষদের জীবন ধারণের একমাত্র ভরসা কৃষিপণ্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রাদুর্ভাবে থেমে যায় তাদের সুখের জীবন। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য বর্তমান সময়ে পাচ্ছিলেন না তারা। এখানের মানুষজনরা অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে।
কলা, লেবুসহ নানান কৃষিজাতপণ্য উৎপাদন করলেও মিলছিল না পণ্যের সঠিক দাম। ওই এলাকার মধ্যে জাঙ্গালিয়া ও নয়নপুর গ্রামের পাশে একমাত্র জলছত্র নামের বাজার বন্ধ এক মাসের বেশি সময়। এরইমধ্যে অনেক কলাচাষীদের কলা পচতে শুরু করেছে। এসব তথ্য দেন সেখানের বেড়িবাইদয়ের ইউপি মেম্বার ও বাগান মালিক সনজু সংমা। তার স্ত্রী বিনীতা নকরেকও কৃষিপণ্যের চাষ করেন।
সনজু স্বপ্ন’র প্রতিনিধি হয়ে সেখানের আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য মূল্যে কলা ও লেবু বিক্রির ব্যবস্থা করে দেন। দেশের বৃহত্তম সুপারশপ ‘স্বপ্ন’র প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার সেখানে যোগাযোগ করে ১ ট্র্রাক কলা কিনেন সেখানের আদিবাসী কৃষকদের কাছ থেকে। সনজু সংমার নিজের বাগান আছে কলার।
তিনি বলেন, লকডাউেনর কারণে এখানের চাষীদের অবস্থা খুবই খারাপ। আমারও কলার বাগান আছে। এখানে আমার বাগানের কলা এবং আদিবাসী রমনাথ মারাকের বাগানের কলাসহ অনেক আদিবাসী কৃষকের কলা কিনেছে ‘স্বপ্ন’। ১ ট্রাক মাল কিনে নিয়েছে একদিনে। তাদেরকে আদিবাসী চাষীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, গত তিন বছর ধরেই আমরা নিয়মিত আদিবাসীর চাষাবাদ করা বিভিন্ন পণ্য কিনছি। কিন্তু এবারের সংকটটা ছিল ভিন্ন রকম। করোনার প্রাদুর্ভাবে তাদের পণ্যগুলো কেউ বাজারে কিনতে পারছিল না। কারণ তাদের গ্রামের পাশের জলছত্র বাজারটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল তাদের। তাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আমি অফিসকে জানাই। এরপর অফিসের সিদ্ধান্তেই তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা শুরু করেছি আমরা। ‘স্বপ্ন’ এভাবেই দুঃসময়ে এবার আদিবাসী চাষীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বগুড়া, যশোর সহ দেশের অনেক জায়গায় কষ্টে থাকা কৃষক থেকে পণ্য কিনেছে স্বপ্ন।
‘স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির আদিবাসীদের কাছ থেকে পণ্য কেনার প্রসঙ্গে বলেন, আদিবাসীদের এই সংকটে তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে ‘স্বপ্ন’। যেখানেই সংকট আর বিপর্যয় কৃষকের জন্য কাল, সেখানেই পৌঁছে যাবে ‘স্বপ্ন’।
এমবি//