ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার

মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৮ জনের। করোনায় আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৬৪ জন। ফলে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল সাত হাজার ৬৬৭ জনে।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৬২৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে চার হাজার ৯৬৫টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৬৬টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬৬৭ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১০ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬০ জন।

নতুন করে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং দুজন নারী। দুজন ষাটোর্ধ্ব এবং তিনজন চল্লিশোর্ধ্ব।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও নিহতের পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ২৩৬ জন। করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩২ লাখ ২২ হাজার ৩৪৬ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৯ হাজার ৮১১ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১০ লাখ ২৯৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং দুই লাখ ২৮ হাজার ১৯৭ জন রোগী মারা গেছেন।

এমবি//