করোনাতঙ্কে নেই প্রতিবেশীরা, দাফন করলেন চিকিৎসক ও জনপ্রতিনিধি
দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার
করোনায় মারা গেছে সন্দেহে এক ব্যক্তির লাশ দাফনে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীরা। তবে, সরে যাননি স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধি। রাজধানীর নবাবগঞ্জে ঘটেছে এমন বিরল ঘটনা।
জানা গেছে,‘মৃতদেহের প্রয়োজনীয় গোসল শেষে দাফন করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেলসহ আরও কয়েকজন মুসল্লি। নিহত ৬৫ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নে মুসলিমহাটি গ্রামে।
বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফেসবুক পেইজে এমন স্ট্যাটাসে এ বিষয়টি উঠে এসেছে। জানানো হয়, বুধবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মৃতদেহ দাফনের প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়।
নিহতের ছেলের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ওই বৃদ্ধ গত দেড়মাস ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। আর্থিক সমস্যার কারণে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেননি স্বজনরা। বুধবার রাজধানী গেন্ডারিয়ার বাসায় ওই বৃদ্ধ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তবে করোনা ভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশীদের এমন সন্দেহের কারণে তাকে ঢাকার ওই এলাকায় দাফন করা সম্ভব হয়নি।
যার কারণে লাশ তার গ্রামের বাড়ি চুড়াইনে নিয়ে আসা হয়। এখানেও একাধিক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে লাশের গোসল, জানাজা ও দাফনে বাধা দেওয়ায় জটিলতা দেখা দেয়।
পরে কোন উপায় না দেখে নিহতের স্বজনরা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে মৃত ব্যক্তির লাশ হাসপাতালে এনে গোসল ও জানাজা পড়িয়ে তার নিজ গ্রামে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ পুরো প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেল।
অপরদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে এমন সন্দেহ করে প্রতিবেশী এবং সাধারণ জনগণ যে অসহযোগিতামূলক আচরণ করেছেন তা কোনভাবেই কাম্য নয় বলেও ওই পোস্টে বলা হয়।
এআই/