ঋষির মৃত্যুতে তারকাদের টুইট
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার
এক দিকে করোনা, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে শোক। বলিউডে নেমে এসেছে অন্ধকার। প্রখ্যাত অভিনেতা ইরফান খানের মৃত্যুর পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান ঋষি কাপুর। ৬৭ বছর বয়সী এই বলিউড তারকার মৃত্যুতে বলিউড পাড়ায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে। একের পর এক তারকার মৃত্যুতে ভেঙে পড়ল চলচ্চিত্র মহল। প্রিয় তারকার মৃত্যুতে অনেকেই টুইট করছেন। জানাচ্ছেন শোক বার্তা।
ঋষির মৃত্যুর খবর টুইটে সর্বপ্রথম জানান- বলিউডের আরেক মহীরুহ অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। সহ অভিনেতার প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন তিনি। লিখেন, ‘সে চলে গেল, ঋষি কাপুর... প্রয়াত হয়েছেন, আমি হতবাক।’
শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা রজনীকান্তও। তিনি লিখেন, ‘অত্যান্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা। শান্তিতে থেকো... আমার প্রিয় বন্ধু।’
অভিনেতা আকবর লিখেন, ‘চোখের জলে আরও একবার ভাসল বলিউড। চলে গেলেন অমর আর এন্টনি।’
ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ফারহান আখতার লিখেন, ‘খুবই বেদনার দিন। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য তাকে হারানো অপূরণীয় ক্ষতি। তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সকলের জানা। ভালবাসি ঋষি আঙ্কেল।’
শোক প্রকাশ করেছেন বিরাট কোহলি ও স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। টুইট করে বিরাট কোহলি লেখেন, ‘মেনে নিতে অসুবিধে হচ্ছে।’
অনুষ্কা শর্মা লেখেন, ‘আমি কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
শচিন টেন্ডুলকর, শিখর ধাওয়ানও ঋষি কাপুরের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন।
বিরাট কোহলি লেখেন, ‘এটা সত্যি নয়, বিশ্বাসযোগ্য নয়। গতকাল ইরফান খান আর আজ ঋষি কাপুর জি। আজ লিজেন্ডের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। তাঁর আত্নার শান্তি কামনা করি।’
অনুষ্কা শর্মা লেখেন, ‘এই ফোনটি হাতে নিয়ে আমি পুরোপুরি কথা হারিয়ে ফেলেছি অবিশ্বাসে। গতকাল ইরফান আর এখন... কষ্ট, মন ভেঙে গিয়েছে, পুড়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি এখান থেকে বেরিয়ে আসব। মিস করব, স্যার। আত্মার শান্তি কামনা করি। ওম শান্তি।’
টেন্ডুলকর লেখেন, ‘খুব খুব দুঃখিত ঋষি কাপুর জির প্রয়াণের খবরে। তাঁর সিনেমা দেখে বড় হয়েছি এবং যখনই দেখা হয়েছে খুব ভালভাবে কথা বলেছেন এত বছর ধরে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘নিতু জি, রনবীর এবং পুরো পরিবারের জন্য হৃদয় থেকে সমবেদনা।’
শিখর ধাওয়ান লেখেন, ‘ঋষি কাপুর জি-র প্রয়াণে আমি অবাক। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
রবিচন্দ্রন অশ্বিন লেখেন, ‘খুব খুব দুঃখিত ঋষি কাপুর জি-র প্রয়াণের খবরে। সবে ইরফানের খানের মৃত্যুর খবর এসেছিল। সত্যি খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’
মুহম্মদ কাইফ লেখেন, ‘কী মর্মান্তিক খবর নিয়ে সকালে ঘুম ভাঙল। আমি কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আত্মার শান্তি কামনা করি।’
টুইটে আমির খান শেয়ার করেন ‘ফানা’ সিনেমাতে ঋষি কাপুরের সঙ্গে তাঁর অভিনয়ের কথা। জানান, মাথা পর্যন্ত ডুবে থাকতেন অভিনয়ে। ১০০ শতাংশ দিতেন প্রতিটি শটে। শট পছন্দ না হলে বারবার রি-টেক করতে বলতেন। শরীরের বয়স হয়েছিল তাঁর। মনের নয়। তাই নব্য প্রজন্মের সঙ্গেও দারুণ ভাবে মানিয়ে নিতে পারতেন। ভীষণ হুল্লোড়ে ছিলেন। সেটে কাজল আর তাঁর সঙ্গে সারাক্ষণ খুনসুটিতে মাততেন। ঋষি কাপুরের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তিনি।
শোক জানান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, রাহুল গান্ধি, শশী থারুর, প্রকাশ জাভড়েকর সহ ফিল্মি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
শোকবার্তা জানিয়ে টুইট করেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। অভিনেত্রী ঋষি-প্রয়াণে লেখেন, ‘এই দুঃসংবাদ শুনে আমার হৃদয় খুব ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে। এটা একটা যুগের অবসান হল। ঋষি স্যার আমরা আর কখনও আপনার দরাজ হৃদয় এবং অপার প্রতিভার মুখোমুখি হতে পারবো না। নীতু ম্যাম, ঋদ্ধিমা, রণবীর এবং পরিবারের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর আপনার আত্মাকে শান্তি দিন।’
প্রসঙ্গত, ঋষি কাপুর একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা প্রযোজক এবং পরিচালক। যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সুপরিচিত। ১৯৭০ সালে তার পিতার চলচ্চিত্র মেরা নাম জোকারে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতে নেন।
এরপর ববি চলচ্চিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সাথে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯২টি রোমান্টিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন যেখানে ৪১টি চলচ্চিত্রে সহ-তারকাদের সমন্বয় ছিল।
বাকি ৫১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে মাত্র ১১টি চলচ্চিত্রে তিনি সফলতা পান। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তার সহধর্মীনি নীতু সিংয়ের বিপরীতে মোট ১২টি চলচ্চিত্রে এক সাথে কাজ করেন।
এসএ/