বাস চালককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে ধর্মঘট
প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:১৪ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ হত্যার দায়ে সাভারে ট্রাক ড্রাইভার মিরুকে মৃত্যুদন্ড ও মানিকগঞ্জে বাস চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়ার প্রতিবাদে সারাদেশে ধর্মঘট করছে পরিবহন শ্রমিকরা। যান চলাচল বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিভিন্নস্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তারা। এতে চরম দুভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। মালবাহি ট্রাক আটকা পড়ায় ক্ষতির মুখে পচনশীল পন্য। তবে দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
সোমবার খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলেও গভীর রাতে সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। আকস্মিক এই ধর্মঘটে ঘর থেকে বেরিয়েই বিপাকে পড়েন কর্মজীবী মানুষ।
রাজধানীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বাস চলাচল করলেও কোন দুরপাল্লায় বাস আসেনি, ছেড়েও যায়নি। এমনকি রাজধানীর থেকে বেরোনোর প্রধান মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটকারিরা।
সায়দাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনালে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয় যাত্রীদের। ভোগন্তির যেনো শেষ নেই।
গাবতলীতে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। দুই চালককে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন নেতারা।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ আশপাশের সব এলাকায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানায় আদালতের দেয়া সাজার বিরুদ্ধে।
চুয়াডাঙ্গায় দৌলাতদিয়া বাসস্ট্যান্ডে টায়ারে আগুন জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পরিবহন শ্রমিকরা। নেত্রকোণাতেও একইভাবে সড়ক অবস্থান নিয়ে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটকারিরা।
ধর্মঘটে স্থলবন্দরগুলোতে পণ্য আনা-নেয়ায় ব্যঘাত ঘটছে। এছাড়া গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীতে রাজধানীমুখী পণ্যবাহি যানবাহনের দীর্ঘ সারি হয়েছে। পচনশীল পন্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে ছেড়ে যায়নি দুরপাল্লার বাস।
সড়কে ধর্মঘটের কারণে রেলস্টেশনগুলোতে ভীড় করছে মানুষ। সারাদেশেই ট্রেনের উপর বাড়তি যাত্রীর চাপ।