অপহরণের দেড়মাসেও কিশোরীকে ফিরে পায়নি হতদরিদ্র পিতা-মাতা
বাগেরহাট প্রতিনিধি.
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০ বৃহস্পতিবার
বাগেরহাটের কচুয়ায় অপহরণের দেড়মাসেও সন্তানের খোজ পায়নি হতদরিদ্র পিতা-মাতা। ১৬ই মার্চ রাতে কচুয়া উপজেলার ফুলতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনে থেকে অপহৃত হয় নব শ্রেণির শিক্ষার্থী লিমা আক্তার (১৫)। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা ইনুছ শেখ ১৭ মার্চ কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুজে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ শফিকুর রহমান।
ডায়েরী সূত্রে জানাযায়, ১৬ই মার্চ রাতে পিতামাতার সাথে কচুয়া উপজেলার ফুলতলা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ওয়াজ শুনতে যায় ফুলতলা গ্রামের ইনুছ শেখের মেয়ে লিমা আক্তার(১৫)। ওয়াজের প্যান্ডেল থেকে বাদাম কিনতে বাইরে বের হয় লিমা। মুখ চেপে ধরে একটি মটর সাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। এঘটনায় পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় হতবাক হয়েছেন এলাকাবাসী।থানা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কিশোরী মেয়ের খোজ পাচ্ছেন না পিতা-মাতা। এত কিছুর পরেও সন্তানকে ফিরে না পাওয়াতে থামছে না পিতা-মাতার আহাজারী।
সন্তান হারা পিতা ইনুছ শেখ বলেন, রাস্তায় থাকা অনেকে দেখেছে মুখ চেপে ধরে মটরসাইকেলে করে নিয়ে যায় আমার মেয়েকে। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি। স্থানীয় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিককেও বিষয়টি জানিয়েছি। জামাই চাও না মেয়ে চাও বলে আমার সাথে ঠাট্টা করেন চেয়ারম্যান। যেকোন মূল্যে আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হতদরিদ্র এই কৃষক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই তারা যেন মেয়েটিকে খুজে তার পিতা-মাতার কাছে দেয়।
প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম, লাকি বেগমসহ অনেকে বলেন, মেয়েটি কেবল অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উঠেছে।মেয়েটি খুব ভাল ছিল। শকুনের চোখ পড়েছে ওর দিকে। এলাকার মানুষ জড়িত না থকলে একটা মেয়েকে এভাবে অপহরণ করে নিতে পারে না। যেভাবে হোক আমরা মেয়েটিকে ফিরে পেতে চাই।
হতভাগা কিশোরীর মা নাছিমা বেগম বলেন, আমার চার মেয়ে। লিমা সব থেকে ছোট ও আদরের। তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ওকে নিয়েই এখন আমাদের সব আশা ভরসা। লম্পটরা রাতের আধারে ওয়াজের মাঠ থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জোড় তৎপরতা চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করব।
আরকে//