দিল্লিতে একই আবাসনের ৪৪ জন করোনাক্রান্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ২ মে ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৫:০৯ পিএম, ২ মে ২০২০ শনিবার
ভারতের যে রাজ্যগুলোতে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা ভাইরাস, তাদের মধ্যে অন্যতম দিল্লি। কাপাশেরা অঞ্চলের একটি আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে একসঙ্গে ৪৪ জন আক্রান্ত হলেন ভয়ঙ্কর সংক্রামক ওই রোগে।
এই বিষয়ে দিল্লির সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ওই আবাসনের বাসিন্দাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখে সন্দেহ হওয়ার পরেই তাঁদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেস্টের জন্যে পাঠানো হয়। প্রায় ১০ দিন আগে পাঠানো ওই নমুনা পরীক্ষা করে যখন ফল বের হয় তখন দেখা যায়, একসঙ্গে অতজন আবাসিক আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। সম্প্রতি ওই বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেদের অজান্তেই একজন কোভিড- ১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসেন। মনে করা হচ্ছে, তাঁর থেকেই ওই মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়ে আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের মধ্যে।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা এই অনুমান করে গত ১৮ এপ্রিল তাঁদের করোনা টেস্ট করানোর তৎপরতা শুরু হয়। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাতে না সেই জন্যে সরকারি আধিকারিকরা গোটা এলাকাটিকেই সিল করে দিয়েছে। গত ২০ এবং ২১ এপ্রিল ওই এলাকার মোট ১৭৫ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৬৭ জনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট শনিবার এসে পৌঁছয়।
দেখা গেছে এর মধ্যে ৪৪ জন করোনা পজিটিভ। তবে করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় এই আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে ওই এলাকায় আরও বহু মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। গুরগাঁওয়ের নিকটবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার ওই অঞ্চলটি এমনিতেই ঘনবসতিপূর্ণ। তাই সেখানে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সম্ভাবনাও বেশি।
এমনিতেই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে দিল্লি সরকারকে। দেশের রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট ৩,৭৩৮ জন ও মারা গেছেন ৬১ জন। দিল্লির মোট ১১ টি জেলা এখন "রেড জোন"-এ আছে। অর্থাৎ ওই জেলাগুলিতে ১০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
শনিবার সকালেই দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন যে, দিল্লির ওই জেলাগুলো আগামী ১৭ মে পর্যন্ত "রেড জোন"-এর আওতাতেই থাকবে।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে এখনও পর্যন্ত একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২,২৯৩ জন। এর ফলে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৭,৩৩৬ জন। অত্যন্ত সংক্রামক কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে মারা গেছেন মোট ১,২১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১ জন। তবে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা শনিবার সকালে বেড়ে ২৬.৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, অর্থাৎ মোট সুস্থ হয়েছেন ৯,৯৫১ জন।
এসি