ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

‘সূরা ইখলাস’ পাঠ করব আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ৩ মে ২০২০ রবিবার

মাহে রমজানে আমরা বেশি বেশি কোরআন পাঠ করব। সব সময় কোরআনের সঙ্গে থাকব। কারণ এ মাসেই আল্লাহ মহা পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেছেন। এই কোরআন মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও মুক্তির দিশারি বা পথপ্রদর্শক। আজ আমরা পবিত্র কোরআন শরীফের ১১২ নম্বর সূরা ‘সূরা ইখলাস’ পাঠ করব এবং এর ফজিলত সম্পর্কে জানব। 

সূরা ইখলাস
পারা ৩০, আয়াত ৪, রুকু ১ (মাক্কী)

আল ইখলাস এর আয়াত সংখ্যা ৪টি এবং রূকুর সংখ্যা ১টি। সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিকে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মদ (সা:) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আয়াতে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও সত্তার সবচেয়ে সুন্দর ব্যাখ্যা রয়েছে। এটি কুরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে। এই সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

বাংলায় উচ্চরণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ্।
আল্লা-হুচ্ছমাদ্।
লাম্ ইয়ালিদ্ অলাম্ ইয়ূলাদ্।
‌অলাম্ ইয়া কুল্লাহূ কুফুওয়ান্ আহাদ্।

মর্মবাণী
দয়াময় মেহেরবান আল্লাহর নামে
(হে নবী! ওদের) বলো, তিনিই আল্লাহ— একক, অদ্বিতীয়।
২. আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন।
৩. না কেউ তাঁর সন্তান, না তিনি কারো সন্তান।
৪. তাঁর তুলনা শুধু তিনিই।  

ফজিলত
হজরত আবু হোরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার আল্লাহর রাসূল (স.) বললেন, তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদেরকে কোরআনের তিনভাগের একভাগ শুনাব। অতঃপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল তারা একত্রিত হয়ে গেলে তিনি আগমন করলেন এবং সূরা ইখলাস পাট করে শুনালেন। তিনি আরও বললেন, এ সূরাটি কোরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

(মুসলিম ও তিরমিজী)

যে ব্যক্তি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিবেন।

যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য হয়রত জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।

রাসুল (সাঃ) এর সময় একবার এক এলাকার একজন ইমাম সাহেবের নামে বিচার এল। বিচারের দাবী ছিল যে সেই সাহাবী প্রতি ওয়াক্ত নামাজে শুধু সুরা ইখলাস পড়ত। এই প্রসঙ্গে সেই সাহাবীকে তিনি জিজ্ঞেস করলে সাহাবা উত্তরে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সুরা ইখলাসে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব এমনভাবে বর্ণিত আছে যে এই সূরা আমার অনেক ভাল লাগে। তাই আমি সব নামাজে এই সূরা পড়ি।

এই কথা শুনে আল্লাহ রাসুল (সাঃ) কিছু বলার আগেই আল্লাহ বলে পাঠালেন যে শুধু তার সূরা ইখলাসের প্রতি এই ভালবাসাই তার জন্য জান্নাত নিশ্চত করে দিয়েছে।

আসুন এই রমজানে বেশি বেশি কোরআন পড়ি। অর্থ বুঝে পড়ি। এক কথায় গভীর ভাবে ডুব দেই কোরআনের প্রতিটি আয়াতের মধ্যে। 

এসএ/