ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভারতে করোনায় একদিনে ১৯৫ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ৫ মে ২০২০ মঙ্গলবার

ভারতে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯০০ জন। মারা গেছেন ১৯৫ জন।

সব মিলিয়ে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। খবর এনডিটিভি।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবার সকালের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ভারতে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৪৬ হাজার ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১ হাজার ৫৬৮ জনের। প্রায় ১২ হাজার ৭২৭ রোগী সুস্থ হয়েছেন।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে টানা লকডাউন চললেও কোনোভাবেই বাগে আনা যাচ্ছে না কোভিড-১৯। ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।

গতকাল সোমবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে ২ হাজার ৫৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হন। একদিনের মধ্যেই মারা যান ৮৩ রোগী।

রোববারও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। ওইদিনও নতুন করে ২ হাজার ৪৮৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

এদিকে টানা লকডাউনের জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই লকডাউন। তারপর থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাড়ানো হল এই লকডাউনের মেয়াদ। এর আগে দেখা গেছে বিশ্বের যে যে দেশে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তারাই লকডাউনের পথে হেঁটেছে এবং তার সুফলও পেয়েছে, অনেকটাই রদ করা গেছে সংক্রমণ। অনেকটা সেই উদাহরণকে সামনে রেখেই ভারতেও লকডাউন জারি করা হয়। কিন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই, বরং প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

গতকাল সোমবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে ২,৫৭৩ জন করোনা আক্রান্ত হন। একদিনের মধ্য়েই মারা যান ৮৩ জন রোগী। রোববারও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। ওইদিনও নতুন করে করোনা ভাইরাস থাবা বসায় ২,৪৮৭ জনের দেহে।

এদিকে গোটা ভারতে এই লকডাউন চলায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। শিল্পসংস্থা ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় ধুঁকছে দেশের অর্থব্যবস্থাও। মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপদকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার দেশের গরিবদের সাহায্যের জন্যে ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা ভাইরাসকে রুখতে টানা যে লকডাউন চলেছে তাতে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্পগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারে এমন কোনও আর্থিক প্যাকেজ এখনও ঘোষণা করেনি মোদি সরকার। 

তবে অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য মোদি সরকার ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স তৈরি করে দিয়েছেন।

এমবি//