নিস্তব্ধতা ভেঙে ইতালিতে কাজে ৪০ লাখ মানুষ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ৫ মে ২০২০ মঙ্গলবার
সম্পূর্ণ না হলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে করোনার লাগাম। তাইতো অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গতকালই শিথিল করা হয়েছে চলমান লকডাউন। এতে করে নিস্তব্ধতা ভেঙে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে ৪০ লাখের বেশি মানুষ।
চীনের পরেই করোনার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে জেঁকে বসে পশ্চিম ইউরোপের দেশটিতে। যাতে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ পৃথিবী ছেড়েছেন। যা ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে সোমবার থেকে দেশজুড়ে লকডাউন আংশিক শিথিলের ঘোষণা দেয় ইতালি সরকার। ফলে প্রায় দুই মাস ঘরবন্দি থাকার পর আবার রাজধানী রোমসহ দেশটির বড় বড় শহরগুলো কিছুটা হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার আশায় কর্মস্থলে যোগ দিতে শুরু করে।
তবে, এমন এক সময়ে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যখন দেশটি করোনা সংক্রমণে বিশ্বে মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় ও আক্রান্তে তৃতীয় অবস্থানে। ১২ লাখের বেশি আক্রান্ত ও ৭০ হাজার মৃত্যুর রেকর্ড নিয়ে শীর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মাঝে প্রায় আড়াই লাখ আক্রান্ত ও সাড়ে ২৫ হাজার প্রাণহানি নিয়ে স্পেন।
আর ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৯ জনে ঠেকেছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ২২১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ প্রায় ১২ হাজার মানুষ। সুস্থ হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৭৯ জন।
লকডাউন শিথিলের এ পর্যায়ে আপাতত সীমিত আকারে বার, রেস্টুরেন্ট, খুচরা ও পাইকারি দোকানপাট, স্টেশনারি, বইয়ের দোকান, শিশুদের পোশাকের দোকান, কম্পিউটার ও কাগজপত্র তৈরির কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আগামী ১৮ মে থেকে খুলবে কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, প্রদর্শনী, জাদুঘর, ক্রীড়া ক্ষেত্র এবং গ্রন্থাগার। ১ জুন থেকে খোলা যাবে বড় রেস্টুরেন্ট, বার, সেলুন, ম্যাসেজ সেন্টার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খোলার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে বলেন, ‘এখন ভাইরাসটির সঙ্গে সহাবস্থানের পর্যায় সবার জন্য শুরু হতে যাচ্ছে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। এখনো ঝুঁকি আছে, আমাদের অবশ্যই এটা পদ্ধতিগতভাবে ও কঠোরতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।’
এআই//