করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১,৪০৩ জন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ৫ মে ২০২০ মঙ্গলবার
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি সুস্থতার হারও বাড়ছে। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৬ জন।
আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ডা. নাসিমার দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ২৪ ঘন্টায় ১ জন পুরুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা এবং তার বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮৩ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ১৮২টি। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল ৬ হাজার ৩১৫টি। নমুনা সংগ্রহ আগের দিনের তুলনায় ২শ’টি কম। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৩৩টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ৭১১টি। আগের দিন পরীক্ষা হয়েছিল ৬ হাজার ২৬০টি। গতকালের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা ৫৪৯টি কম।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১২৮ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট আইসোলেশনের সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭০ জন, সব মিলিয়ে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ২৪৩ জন।
সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ৯ হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে ৩ হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাহিরে শয্যা রয়েছে ৫ হাজার ৬৯৪টি। আর দেশে আইসিইউ সংখ্যা রয়েছে ৩৪৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট রয়েছে ১০২টি রয়েছে বলে তিনি জানান।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ২ হাজার ৪৭৭ জনকে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮১১ জনকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ২৮৮ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬৮৯ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪১ হাজার ১২২ জন।
সারাদেশের ৬৪ জেলা এবং সেখানকার উপজেলায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেবা দেয়া যাবে বলে তিনি জানান।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ হয়েছে ৫৯ হাজার ২৮৯টি। বিতরণ হয়েছে ২২ হাজার ৪০টি। এ পর্যন্ত সংগ্রহ ১৯ লাখ ৩০ হাজার ২৫৪টি। বিতরণ হয়েছে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮২টি। বর্তমানে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২টি পিপিই মজুদ রয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হটলাইন নম্বরে ৬৯ হাজার ৬২৪টি এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৬০টি ফোন কল রিসিভ করে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ও ওয়েবসাইটে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ হাজার ৫৪৮ জন এবং এ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৭৪ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬২২ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসক বেড়েছে আরো ৩২ জন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৪০ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের বিমানবন্দর, স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৪৭ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪শ’ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, ৪ মে পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬২৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৬৭৩ জন। ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৮৮ জন এবং এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬৩ জন।
সারাবিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ১০৮ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৪ জন। ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৯৭৬ জন এবং এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ জন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
এসি