এবার মাস্ক পাঠালেন চীনের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সেই তরুণ
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৫:২১ পিএম, ৬ মে ২০২০ বুধবার
চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া জয়পুরহাটের তরুণ শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সরকার ৩০০ পিস কেএন ৯৫ মাস্ক পাঠিয়েছেন। চীন থেকে মাস্কগুলো কালই দেশে এসেছে এবং মঙ্গলবার ই সেই মাস্কগুলো জয়পুরহাটের সংসদ সদস্য, চিকিৎসক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ইউএনও, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক ও করোনা সন্দেহ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহকারী স্বাস্থ্যকর্মী দের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাম কবিরের হাতে এই মাস্ক তুলে দেন জয়পুরহাট টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও যমুনা টেলিভিশনের ষ্টাফ রিপোর্টার আবদুল আলীম মন্ডল ও 'করোনা যুদ্ধে আমরা' সংগঠনের সমন্য়কারী তিতাস মোস্তাফা।
গত ২৫ মার্চ মিজানুর রহমান তাঁর বৃত্তির টাকা বাঁচিয়ে করোনাভাইরাস টেষ্টের জন্য ১০০ কিট কিনে পাঠিয়েছিলেন। মিজানুর রহমান সরকার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকারপাড়া গ্রামের আবু জাফরের ছেলে। তিনি চীনের নানথোং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা করছেন।
মিজানুর রহমান সরকার গত ১৫ এপ্রিল তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, যদি করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করি তাহলে আমার জানামতে, জয়পুরহাটে এ সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছেন সাংবাদিক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবক ভাইয়েরা । আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লোভস নেই। তারপরও আপনারা জয়পুরহাটের মানুষের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনাদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে চীন থেকে মাস্ক উপহার পাঠানোর চিন্তা করছি। আপনাদের মতামত প্রত্যাশা করছি।
ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মিজানুর রহমান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফেসবুকে মতামত পাওয়ার পর ৩০৮ টি মাস্ক কিনে উপহার হিসেবে জয়পুরহাটে পাঠিয়েছি। মাস্কগুলো দেশে পৌঁচেছে এবং জয়পুরহাটের যমুনা টিভির সাংবাদিক আবদুল আলীম সীমিত আকারে মাস্কগুলো চিকিৎসক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ইউএনও, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকদের বিতরণ করেছেন।
সাংবাদিক আবদুল আলীম বলেন, মিজানুর রহমান সরকার চীন থেকে মাস্ক কিনে পাঠিয়েছেন। মাস্কগুলো হাতে পেয়ে জেলার পাঁচ উপজেলাতে পাঠানো হয়েছে এবং প্রশাসনসহ সবার কাছে পৌছানো হয়েছে। মিজানুর রহমান সরকার নিজের বৃত্তির টাকায় মাস্কগুলো কিনে পাঠিয়েছেন এবং এগুলো পেয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা খুশি হয়ে তার প্রশংসা করেছেন। তারা জানান, একজন ছাত্র দেশের কথা চিন্তা করে যা করেছেন তা মানবতার উৎকৃষ্ট উদাহরন।
আরকে//