ঘরবন্দি আফজালের নয়া লুক
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৬ পিএম, ৭ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
মুখ ভর্তি পাকা দাড়ি। চোখে চশমা। ঠোঁটে লেগে আছে এক চিলতে হাসি। এমন লুকেই দেখা গেল গুণী অভিনেতা-নির্মাতা আফজাল হোসেনকে। প্রথম দৃষ্টিতে অনেকেই হয়তো তাকে চিনতে পারবেন না। কারণ এই লুকে আগে কখনও দেখা যায়নি তাকে। ঘরবন্দি থেকে দাড়ি না কাটায় এই লুক আপনাআপনি তৈরি হয়েছে।
করোনার তাণ্ডবে শুটিং পুরোপুরি বন্ধ থাকায় অন্য সবার মতো ঘরবন্দি জীবন কাটছে চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেনের। বর্তমানে নগরীর নিজ বাসায় অবস্থান করছেন তিনি। ব্যস্ততা নেই, হাতে তার অখন্ড অবসর। আর এই সময়ে নিজের ভালো লাগার কাজগুলো করছেন তিনি। সবকিছুর মাঝে ছবি আঁকার কাজটিও করছেন তিনি।
এসব প্রসঙ্গে আফজাল হোসেন বলেন, ‘পেশাদারিভাবে মিডিয়ায় কাজ শুরুর পর থেকে এখনকার মতো এত অবসর কখনও পাইনি। যেহেতু এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই, তাই লোক সমাগম এড়িয়ে বাসায় অবস্থান করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই এ সময়টায় নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যতদিন পরিস্থিতির উন্নতি না হবে, ততদিনই এই রুটিন অনুযায়ীই চলব।’
তিনি বলেন—‘ঘরবন্দি হওয়ার পর থেকে চুল দাঁড়ি কাটার ইচ্ছা জাগেনি। তারা বেশ বড়সড় হয়ে চেহারাটা অন্যরকম বানিয়ে দিয়েছে। সময়ের চাপ আর বন্দিদশায় আনন্দের ঘটনা তো তেমন ঘটে না, সুযোগ নেই। পুরোনো চেহারায় নতুনত্ব রোজ কিছু না কিছু আনন্দ দিচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এখন প্রায়ই ভিডিও কল করে কথা বলি। অনেকদিন পরে যখন প্রথম কারো সঙ্গে কথা হয় প্রথম দর্শনে ও প্রান্তের মানুষের হা হওয়া দেখতে ভালোই লাগছে।’
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ‘ছোট কাকু’ সিরিজের নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন আফজাল হোসেন। কিন্তু করোনা সংকট তা অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে তার পরবর্তী সিনেমা ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ সিনেমার শুটিং প্রায় শেষ করেছেন এই পরিচালক।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের জীবন কাহিনি নিয়ে কবি ও ছড়াকার আনজীর লিটন রচনা করেছেন ‘মানিকের লাল কাঁকড়া’ নামে উপন্যাস। এটি অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার মাসুম রেজা।
এসএ/