জীবনের নিরাপত্তা চায় ইউপি চেয়ারম্যান উসমান গণি
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:১৮ পিএম, ৭ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
নাটোরে প্রাণনাশের হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান উসমান গণি ভূইয়া। এছাড়া তিনি কোন মামলা মোকদ্দমা না থাকার পরও তার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম কালিয়াকে জনসম্মুখে নিরস্ত্র আটক করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান। সদর উপজেলার বড়হরিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ওসমান গণি ভুঁইয়া অভিযোগ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম তিনি সহ তার পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবান দুপুরে ইউনাইটেড প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
উসমান গণি বলেন, তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান। তারপরও রাজনৈতিক রোষানলের কারণে তাকে নানা ভাবে হয়রানি , মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার তিনি পরিষদে থাকাকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম তার সমর্থকদের নিয়ে তার বাড়িতে চড়াও হয়ে তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এছাড়া তার ছেলেকে নিরস্ত্র অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুলিশ দিয়ে আটক করে। পরে দেশীয় অস্ত্রসহ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এরপরও মাসুম তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই তিনি জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী করেন ও জীবনের নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্তী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই অভিযোগকে মিথ্যা ,বানোয়াট ,অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে দাবী করেছেন ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম মাসুম। তিনি বলেন,অভিযোগকারী তার দাদা হন। তারা একে অপরের প্রতিবেশী। তার ছেলে শফিকুল ইসলাম কালিয়ার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ নানা অপকর্মের কারনে আওয়ামীলীগের পদ হারানোর জন্য তাকেই দায়ী করেন তার দাদু। এছাড়া গত ৪ মে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের উপস্থিতিতে এলাকায় ত্রাণ বিতরনের সময় চেয়ারম্যানের ছেলে কালিয়া সাধান মানুষের সাথে অশোভন আচরন করে। প্রতিবাদ করলে কালিয়া দলের ইউনিয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক আসলামকে লাঞ্ছিত করে। এসম আমি কালিয়াকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিই।
এঘটনার পর পুলিশ কালিয়াকে দেশী অস্ত্র সহ আটক করলে চেয়ারম্যানের পরিবারের লোকজন আমার বাড়িতে গিয়ে মহিলাদের গালাগালি করে এবং পরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ভিতীর পরিস্থিতির চেষ্টা করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন হওয়ায় উল্টো আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন,বাদী-বিবাদী একে অপরের আত্মীয় এবং প্রতিবেশী। বিরোধের জেরে একে অপরের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব চেয়ারম্যান ওসমান গণি থানায় মামলা করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরকে//