আল কোরআনে দোয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৬ পিএম, ৯ মে ২০২০ শনিবার
দুনিয়ার বুকে মানুষের উপকার হয় ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়- এমন অনেক দোয়া পবিত্র কোরআনে কারিম ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। দোয়াগুলো খুবই ছোট তাই সহজে মুখস্থ করা যায়। আল কোরআনে দোয়া নিয়ে বেশকিছু আয়াত নাজিল হয়েছে। যেখানে আল্লাহ মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।
আজ তেমনই কিছু আয়াত এর বাংলা মর্মবাণী দেওয়া হল-
২৩. সূরা মুমিনুন, আয়াত ৯৭
৯৭-৯৮. (হে নবী!) প্রার্থনা করো, ‘হে আমার প্রতিপালক! শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। প্রভু হে! শয়তানকে আমার কাছ থেকে দূরে রাখো।’
৭.সূরা আরাফ, আয়াত ১৯৪
১৯৪. নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া আর যার কাছেই তোমরা প্রার্থনা করো, তারা সবাই তোমাদের মতোই সৃষ্টি। তোমাদের দাবি যদি সত্য হয়, তাহলে ওদের ডাকো এবং ওরা তোমাদের প্রার্থনায় সাড়া দিক।
১৭.সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ১১
১১. (হায়!) মানুষ (অনেক সময়) যাতে তার অকল্যাণ হবে, এমন বিষয়ের জন্যে এত একাগ্রভাবে প্রার্থনা করে যেন সে কল্যাণের জন্যে প্রার্থনা করছে। আসলে মানুষ (সিদ্ধান্ত নিতে) অতিমাত্রায় তাড়াহুড়ো করে।
২.সূরা বাকারা, আয়াত ১২৭
১২৭-১২৯. যখন ইব্রাহিম ও ইসমাইল কাবাঘরের দেয়াল তুলছিল তখন তারা দোয়া করেছিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের এ-কাজ কবুল করো! নিশ্চয়ই তুমি সব শোনো, সব জানো। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে পুরোপুরি তোমাতে সমর্পিত করো এবং আমাদের বংশধর হতে এমন একটি জাতির উত্থান ঘটাও যারা তোমাতে পুরোপুরি সমর্পিত হবে। আমাদেরকে ইবাদতের নিয়মপদ্ধতি শিখিয়ে দাও! আমাদের দোষত্রুটি ক্ষমা করো। নিশ্চয়ই তুমি অতীব ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু। হে আমাদের প্রতিপালক! এ জাতির মধ্য থেকে তাদের কাছে এমন এক রসুল প্রেরণ করো, যে তোমার আয়াত পাঠ করবে, তাদেরকে কিতাবের জ্ঞান ও হিকমা শিক্ষা দেবে এবং তাদের জীবনকে পরিশুদ্ধ করবে। নিশ্চয়ই তুমি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’
১৭.সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত ২৩
২৩. আল্লাহ আদেশ করেছেন যে, (এক) তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো উপাসনা করবে না। (দুই) বাবা-মার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তোমার জীবদ্দশায় তাদের একজন বা উভয়েই যদি বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবুও তাদের ব্যাপারে ‘উহ-আহ’ কোরো না, তাদের ধমক দিও না বা অবজ্ঞা কোরো না, তাদের সাথে আদবের সাথে কথা বলো। ২৪. শ্রদ্ধাভরা দৃষ্টিতে মমতার ডানা মেলে ছায়ার মতো আগলে রাখো এবং সবসময় তাদের জন্যে দোয়া করো : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার মা-বাবা শৈশবে যে মমতায় আমাকে লালন করেছেন, তুমিও তাদের ওপর সে-রূপ করুণাবর্ষণ করো।’
২৪.সূরা নূর, আয়াত ৬১
৬১. (হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা যেহেতু পরস্পরের ভাই, তাই) অন্ধ, খঞ্জ ও রুগ্ণ ব্যক্তির জন্যে কারো ঘরে কিছু খাওয়া দোষের নয়। আর তোমরা নিজেরাও সন্তান পিতা মাতা ভাই বোন চাচা ফুফু মামা খালা বন্ধু ও যে-সব ঘরের চাবি তোমাদের কাছে আছে, তাদের ঘরে খেতে পারো। তোমরা একসাথে খাও বা আলাদা আলাদা খাও, তাতে তোমাদের কোনো দোষ নেই। তবে ঘরে প্রবেশের পূর্বে অভিবাদন জানাবে, সালাম করবে। এ কল্যাণের দোয়া আল্লাহর কাছ থেকে নির্ধারিত, কল্যাণময় ও পবিত্র। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে তাঁর বিধান সুস্পষ্টভাবে বয়ান করেন, যাতে তোমরা তোমাদের সহজাত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করতে শেখো।
১৩.সূরা রাদ, আয়াত ১৪
১৪. আল্লাহর কাছে নিবেদিত প্রার্থনাই সত্যিকারের প্রার্থনা। যারা তাঁকে ছাড়া অন্য কোনো (কল্পিত) শক্তিকে ডাকে, ওরা তাদের ডাকে কোনো সাড়া দিতে পারে না। (যারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকে) তাদের উপমা হচ্ছে এমন ব্যক্তির মতো, যে পানির দিকে দুহাত বাড়িয়ে ভাবে পানি (আপনা-আপনি) মুখে ঢুকে যাবে। অথচ পানি কখনো নিজে নিজে তার মুখে ঢুকবে না। তাই সত্য অস্বীকারকারীদের প্রার্থনা আসলে তাৎপর্যহীন ও নিষ্ফল।
৪০.সূরা মুমিন, আয়াত ৪৯
৪৯. জাহান্নামের প্রহরীদের কাছে ওরা কাকুতিমিনতি করবে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করো, তিনি যেন আমাদের শাস্তি অন্তত একদিন হলেও কমিয়ে দেন।’ ৫০. প্রহরীরা জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ রসুলরা আসে নি?’ জাহান্নামীরা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল।’ প্রহরীরা তখন বলবে, ‘তাহলে তোমাদের প্রার্থনা তোমরাই করো। আর সত্য অস্বীকারকারীদের প্রার্থনা সবসময় ব্যর্থই হয়।’
২৩.সূরা মুমিনুন, আয়াত ১১৮
১১৮. অতএব (হে বিশ্বাসীগণ! কায়মনোবাক্যে) প্রার্থনা করো, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমায় ক্ষমা করো! আমায় দয়া করো! তুমিই সত্যিকার দয়াময়!’
৭.সূরা আরাফ, আয়াত ৫৫
৫৫. (হে বিশ্বাসীগণ!) বিনয়াবনত চিত্তে ও সংগোপনে তোমার প্রতিপালকের কাছে প্রার্থনা করো। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের অপছন্দ করেন। ৫৬. দুনিয়ায় শান্তিস্থাপনের পর সেখানে অশান্তি সৃষ্টি কোরো না। শঙ্কা ও প্রত্যাশা নিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মশীলদের খুব কাছাকাছি।
এসএ/