মেদ কমাতে ১০, ওজন কমাতে ১২ ফল
একুশে টেলিভিশন লিমিটেড
প্রকাশিত : ০২:৫১ এএম, ১০ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৩:১২ এএম, ১০ মে ২০২০ রবিবার
মেদ বেড়ে যাচ্ছে? দেখতে বিশ্রী লাগছে? আপনার পুরনো কাপড় চোপড় আর আঁটছেনা কোমরে? সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি চাইলেই এসব সমস্যা দূর করতে পারেন।
তলপেটে জমা গ্যাস, রাতে দেরি করে খাওয়া, কার্বোনেটেড পানীয় পান করা, বেশি পরিমাণ ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া, কম ঘুমোনো ইত্যাদি কারণে এসব সমস্যা দেখা দেয় । আপনি যদি মেদ কমাতে চান তাহলে সুষম খাবার গ্রহণের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হবে।
কম পরিমাণে ক্যালোরি নিন যা আপনার শরীর সহজে খরচ করতে পারে। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় বেশি করে ফল ও শাক সবজি রাখতে পারেন। পরিমিত পরিমাণে পানি পান করুন। এর মাধ্যমে শরীরের বর্জ্য দূর হয় এবং মেদ কমে যায়। এমন সাতটি ফল নিচে দেওয়া হলো-
পেটের মেদ একটি বিব্রতকর বিষয়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের পেটের মেদ বেশি হয়। অতিরিক্ত পেটের মেদ শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে। যেমন : হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ টু ডায়াবেটিস ইত্যাদি। বংশগতি, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের ধরন ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়াতে বড় ভূমিকা পালন করে। কিছু খাবার পেটের মেদ বাড়ায়, আবার কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো মেদ বাড়ায়।
শীতে নিমন্ত্রণবাড়ি, পার্টি, পিকনিক লেগেই থাকে। আর এত কিছু সামাল দিতে গিয়ে তেল-মশলার রান্না, খাওয়ার অনিয়মের জেরে শরীরে মেদ জমতে থাকে নিঃসাড়ে। এই সময়ে রুটিন মেনে শরীরচর্চা, ডায়েটেও টান পড়ে। দিনের শেষে একটা বিয়েবাড়ি বা পার্টিই শেষ করে দিতে পারে সারা দিনের নিয়ম মেনে চলা। তাই মেদ জমে যাওয়ার শঙ্কা এ সময় থাকেই।
তবে শীতের নানা অনিয়মের পরেও মেদকে কব্জা করতে পারে এক ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি বা শারীরিক কসরত। সঙ্গে কিছু মরসুমি ফল।
পুষ্টিবিদের মতে, ‘ফলের ফাইবার পেট অনেক ক্ষণ ভরা রাখে, ফলে খিদে কম পায়। ফলে খাবারের প্রতি আসক্তি কমে মেদ জমতে পারে না।’
বেশ কিছু ফল শরীরের মেদ ও ভুড়ি কমাতে সাহায্য করে। যেমন-
১) তরমুজ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এছাড়া আছে এ্যামিনো এ্যাসিড,ভিটামিন এ ও সি। এটা ওজন কমাতে খুব কার্য়করি।ওজন ঝরাতে এটা অন্যতম সেরা উপায়। প্রতিদিন তরমুজ খেতে পারলে ওজন ও মেদ সহজেই দূর হয়।
২) পেঁপে
পেঁপেতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এতে যে এনজাইম থাকে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফ্যাট ভাঙতে পারে,যার ফলে ওজন কমে যায়। প্রতিদিন পেঁপে খেলে ১০ দিনেরে মধ্যেই এর ফল পাবেন।
৩) আনারস
আনারস এমন এক ফল যা পেটের মেদ কমাতে খুবই উপকারী। এ ফলে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। এই ফল পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ মেদ কমাতে বেশ উপকারী ।
৪) এ্যাভোকাডো
প্রচুর ফাইবার আছে এ্যাভোকাডোতে। এটি খেলে দ্রুত খিদে পায় না। এতে থাকা মোনো-স্যাটিউরেটেড ফ্যাটি এ্যাসিড পেটে জমে থাকা মেদ কমাতে খুবই কার্যকরী।
৫) কলা
কলায় এমন কিছু এনজাইম আছে যা হজমে সহায়ক এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কলা খাওয়ার মাধ্যমে মেদ কমাতে পারেন।
৬) আপেল
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন অনেকাংশ কমে যায় এবং মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
৭) আঙুর
শীতের আর এক উপকারী ফল আঙুর। আঙুরের রস শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে খুবই উপকরী।শরীরের ওজন কমাতে এবং শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খুবই উপকারী। ‘জার্নাল অব ওবেসিটি’-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আঙুর শরীরে ফ্যাট সেল জমতে বাধা দেয়৷ তাই শীতে প্রতি দিন কয়েক টুকরো আঙুর মেদ কমাতে বিশেষ কাজে আসে।
৮ কমলালেবু
শীতের ফল বলতেই আমরা কমলালেবুকে বুঝি। এতে থাকা ফাইবার পেট অনেক ক্ষণ ভরা রাখে, ফলে খিদে কম পায়। এর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯ বেদানা
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার উপকারিতা যেমন এই ফল থেকে পাওয়া যায়, তেমনই এই ফল লো ক্যালোরির। তাই ওজন কমাতে বিশেষ কাজে আসে বেদানা।
১০ সবেদা
মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ফ্যাট গলাতে বিশেষ কাজে আসে এই ফল। এর মধ্যে থাকা ফাইবার পেট ভরা রেখে খিদে নিয়ন্ত্রণ করে।
ওজন কমবে কমাতে ১২ ফল
সবাই স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খেতে চেষ্টা করেন। এই স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে প্রথমেই আসে ফলের কথা। ফলের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার আর কী হতে পারে? নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে ফল। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল রাখলে শরীর থাকবে সুস্থ্য এবং ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
তবে সব ফলই ওজন কমায় না। ওজন কমাতে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে এমন ১২ ফল রয়েছে। প্রতিদিনের ডায়েটে এই ১২ ফল রাখলে আপনার ওজন কমতে বাধ্য। এবার সেই ১২ ফল সম্পর্কে জানবো ।
অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য সবাই তৎপর। কিন্তু সময় কই? রোজকার জীবনে শরীরচর্চার পিছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেওয়ার মতো সময় নেই। আবার ওজনও ঝরাতে হবে। এমন সমস্যার সমাধান দিতে পারে ফল। তাই শরীরচর্চা তো করতেই হবে। কিন্তু তার সঙ্গে ডায়েটে রাখুন এই ফলগুলি।
১ ব্লুবেরি
এক লাখ পুরুষ ও মহিলার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল জানিয়েছে যে ব্লুবেরির মধ্যে ফ্লেভানল রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ ব্লুবেরিতে ১০ মিলিগ্রাম অ্যনথোসিয়ানিন রয়েছে যা অনেকক্ষণ পেট ভরতি রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্লুবেরিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত দরকারী।
২ আপেল
আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্ল্যাভোনয়েড পলিমার। এই কারণে ওজন কমানোর জন্য আপেল আদর্শ একটি ফল। খোসা সুদ্ধ আপেল খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। আপেল রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে থাকলে অকারণে খিদে পায় না। তাই খাওয়াও পড়ে কম, যার কারণে ওজন আর বাড়ে না।
৩ নাসপাতি
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল অনুযায়ী নাসপাতির মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড পলিমার ওজন কমাতে সাহায্য করে। নাসপাতি খোসাসুদ্ধ খেলে তা আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখবে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
৪ স্ট্রবেরি
ব্লুবেরির মতো স্ট্রবেরিও অ্যানথোসিয়ানিনে ভরপুর। সেই কারণে স্ট্রবেরি নিয়মিত খেলে ওজন কমে। ফল মিষ্টি হওয়ায় অনেকেই মনে করেন ফল খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু তা নয়, স্ট্রবেরির মতো ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৫ ক্যাপসিকাম
ইয়েলো, রেড বা গ্রিন এই তিন কালারের ক্যাপসিকাম দেখা যায়। আসলে আমরা ক্যাপসিকামকে সবজি বলে মনে করি, কিন্তু তা ফলের মধ্যেই পড়ে। ক্যাপসিকাম শ্বেত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ক্যালোরি বার্ন করা ব্রাউন ফ্যাট বাড়িয়ে থাকে।
৬ তরমুজ
এই ফলে প্রায় ৯২ শতাংশ জল থাকে। এর ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও তরমুজে ভিটামিন এ, বি-৬, সি, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ফাইবার থাকে। এগুলিও ওজন ঝরাতে সাহায্য করে।
৭ ফুটি
এই ফলে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি থাকে। এতে ওজন ঝরে। এটি খাওয়া শরীরের পক্ষেও উপকারী। এই ফল বেশ মিষ্টি। ফলে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা এর মাধ্যমেই পূরণ হয়ে যায়। আর সেই কারণে মিষ্টি খেয়ে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও কমে।
৮ আম
ফলের রাজাও কিন্তু ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। এই ফলে ভিটামিন এ, সি, ডি ও জরুরি ফাইবার থাকে। ফলে অনেক নিউট্রিশনিস্ট এই ফলকে ডায়েটের তালিকায় রাখেন। ওজন কমাতে এই ফলেরও জুড়ি মেলা ভার।
৯ আনারস
আম বা তরমুজের মতো আনারসের কদর নেই। কিন্তু এই ফলও বহু গুণে ভরপুর। তার মধ্যে একটি হল এই ফল ওজন ঝরানোর কাজে খুব উপকারী।
১০ লিচু
এতে অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। এটিই ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। খাবারের পর লিচু খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরই লিচু খান।
১১ তাল
এই ফলে ক্যালোরি কম থাকে। এছাড়া ফাইবার ও সরবিটলের উপস্থিতিও থাকে তালে। এই ফল রক্তচাপ কম রাখতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও সাহায্য করে। ডায়বেটিক রোগী যারা ওজন ঝরাতে চায়, তাদের জন্য এই ফল আদর্শ খাদ্য।
১২ পিচ
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও ওজন কমাতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। এই ফল খেলে অনাক্রম্যতা বাড়ে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ধাতব উপাদান ও ভিটামিন থাকে। মিল্কশেকের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে পিচ।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।
এসইউএ