ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

যে দোয়াগুলো জানা খুবই জরুরী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৮ পিএম, ১১ মে ২০২০ সোমবার

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ-ব্যাধীসহ সব ধরণের বিপদ-আপদে মানুষ বড় অসহায় হয়ে পড়ে। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে তারা বিপদ থেকে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু ঠিক কি বলে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা উচিত, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে যেসব সুনির্দিষ্ট সূরা বা দোয়া কালাম রয়েছে তা শিখে নেওয়া দরকার।

অপরদিকে লাইলাতুল কদর বা শবেকদর আসছে। এ রাতে ঈবাদতের বিষয়ে নির্ধারিত কোনো আমল বা নামাজ কোরআন-হাদিসে বর্ণিত নেই। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে এত রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে, এমন আমল করতে হবে- নির্দিষ্টভাবে এমন কোনো আমলের কথা উল্লেখ নেই। তবে এ রাতের মূল আমল হল নিজের গুনাহখাতা আল্লাহ থেকে মাফ করিয়ে নেয়া। তাই সেজন্য কিছু দোয়া রয়েছে। এরকম বেশকিছু দোয়া জেনে নিব আজ।

সেই সঙ্গে পৃথিবীব্যাপী মানুষের চাওয়ার অন্ত নেই। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ স্রষ্টার আনুকূল্য লাভ করতে চায়। এ জন্য তারা পবিত্র জুমার দিনটিকে দোয়া কবুলের জন্য বেছে নিয়ে থাকেন। কেননা, আল্লাহ তায়ালা কোরআনে জুমার দিনটিকে শ্রেষ্ঠ দিনের মর্যাদা দিয়েছেন। এটি এমন একটি দিন যাকে কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে একটি সূরাও। স্বাভাবিকভাবে আল্লাহর বান্দার কাছে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। সে দিনেরও কিছু দোয়া রয়েছে। সেগুলোও জেনে রাখা ভালো।

দুর্যোগে রক্ষা পেতে দোয়া

বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য পবিত্র কোরআন এবং রাসুল (সা.) এর হাদিসে কিছু দোয়াও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন।’ (তিরমিজি মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২৪৫৪)

 

দোয়ায়ে ইউনুস (আ.): রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস (আ.) এ দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।’ (আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২২৯২)।

উচ্চারণ: ‘লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন।’ (সুরা আম্বিয়া: ২১/৮৭)

অর্থ: প্রভু হে, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি মহাপবিত্র। আমি পাপি। আমি গুণাহগার। আমায় ক্ষমা কর।

এ দোয়াটি কমপক্ষে ১০০ বার পাঠ করাসহ আরও ৩টি সূরা ১০০ বার করে পড়া যেতে পারে। ৩টি সূরার মধ্যে রয়েছে সূরা ফালাক, সূরা নাস ও আয়াতুল কুরসি।

সূরা ফালাক এর উচ্চারণ: কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্বি।মিন্ শার রিমা-খলাক্ব। অমিন্ শাররি গ-সিক্বিন্ ইযা-অক্বাব্। অমিন্ শাররি ন্নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ ‘উক্বদ্। অমিন্ শাররি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ্।

অর্থ: ( হে নবী! তুমি) বলো, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতে স্রষ্টার। আশ্রয় গ্রহণ করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ঠ থেকে, রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে, গ্রন্থিতে ফুৎকারদানকারী ডাইনিদের অনিষ্ঠ থেকে, হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে।

সূরা নাস এর উচ্চারণ:  কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিন্না-স্। মালিকিন্না-স্ । ইলা-হি ন্না-স্ । মিন্ শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি । আল্লাযী ইউওয়াস্ওয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্। মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্। 

অর্থ: ( হে নবী! তুমি) বলো, মানুষের অন্তরে গোপনে কুমন্ত্রণাদানকারীর কুমন্ত্রণা এবং জ্বীন ও মানুষের কুমন্ত্রণার অনিষ্ট থেকে মানুষের অধিপতি, মানুষের উপাস্য, মানুষের প্রতিপালকের নিকট আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি।

আয়তাল কুরসি: বিপদ ছাড়াও শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত আয়তাল কুরসি: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। [মুসতাদরাকে হাকিম]। তাই এখনই পবিত্র আয়তুল কুরসীটি মুখস্থ করে নিন।

উচ্চারণঃ‬ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি শাশ্বত চিরঞ্জীব।  বিশ্ব প্রকৃতির সর্বসত্তার ধারক। তিনি তন্দ্রা নিদ্রাহীন সদাসজাগ। মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুর মালিক। তাঁর  সদয় অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করার সাধ্য কারো নেই। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, অতীত বা ভবিষ্যৎ-সৃষ্টির সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু জানাবেন, এর বাইরে তাঁর জ্ঞানের আসন, তাঁর কর্তৃত্ব পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের সর্বত্র বিস্তৃত। আর তা  সংরক্ষণে তিনি অক্লান্ত। তিনি সর্বোচ্চ সমহান। -(সূরা বাকারা:২৫৫)

বিপদ থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া
আমাদের এই চলমান জীবনে অনেকেই হঠাৎ করে বিভিন্ন বিপদে পড়ে থাকি। মানুষ সাধারণত বিপদে পড়লে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনা করে সাহায্য চেয়ে থাকেন।

এ বিষয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন,- ‘হঠাৎ কোনো বিপদ- আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিন বার এই দোয়া পড়বে। পৃথিবীর কোন কিছুই তার কোন ধরণের ক্ষতি করতে পারবেন।’
(আবু দাউদ, তিরমিজি, ৩৩৮৮)

দোয়াটির উচ্চারণ : 
‘বিসমিল্লা-হিল্লাজি, লা ইয়াদুররু মা আসমিহি শাইয়ান ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামায়ি, ওয়াহুয়াস সামিউল আলিম।’

অর্থ : 
আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আকাশ-জমিনের কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

যে কোন কঠিন রোগ থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া :
আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়া করতেন।

দোয়াটির উচ্চারণ :

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুজামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসকম।’

অর্থ : 
হে আল্লাহ অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্মক ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(আবু দাউদ ২/৯৩, সহী তিরমিযী ৩/১৮৪; সহিহ নাসাঈ ৩/১১১৬)

জুমার দিনে দোয়া
গোটা বিশ্বের মুসলিমদের নিকট জুমার দিনটি অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আলাদা। এটা বান্দা নয়, স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা দিনটিকে আলাদা মর্যাদা দান করেছেন। 

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সূর্য ওঠা দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন।’ (মুসলিম)

জুমার শপথ করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘শপথ সেই দিনের, যে উপস্থিত হয় এবং যাতে উপস্থিত হয়।’ (সূরা বুরুজ, আয়াত ৩)

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যে উপস্থিত হয় অর্থ জুমার দিন আর যাতে উপস্থিত হয় অর্থ আরাফার দিন।’
এ জুমার দিনে মহাজগৎ-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি রয়েছে। এ দিনে আল্লাহ আসমান-জমিন সৃষ্টির পূর্ণতাবিধান করেছেন।

আল্লাহর ইরশাদ, ‘তোমাদের রব তিনি, যিনি আসমান ও জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আরাফ, আয়াত ৫৪)

ইবনে কাসির (রহ.) এ আয়াতের তাফসিরে বলেন, ‘এ দিনে অর্থাৎ জুমার দিনে সব সৃষ্টি একত্রিত হয়েছে।’

উল্লিখিত কোরআনের এসব আয়াত ও হাদিস দ্বারা জুমার দিনের বিশেষত্ব আমরা সহসাই বুঝতে পারি। 

হাদিসে এসেছে, এ দিনের কিছু সময়ে আল্লাহ বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। বিভিন্ন বর্ণনায় বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ হয়েছে। তবে জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় কোনটি সে সম্পর্কে মতানৈক্য থাকলেও দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাদের সঙ্গে একদিন শুক্রবারের ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনও মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাস‍ুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)

আবু দারদা ইবনে আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি জুমার দিনের বিশেষ মুহূর্তটি সম্পর্কে বলেছেন, ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত। (মুসলিম, মিশকাত)

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইমাম মিম্বরে বসা থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত।’ (মুসলিম, ইবনু খুজাইমা, বয়হাকি)

রাসুল (সা.) থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, জুমার দিনে ১২ ঘণ্টা রয়েছে। তাতে এমন একটা সময়ে রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর ক‍াছে যা চায় আল্লাহ তাই দেন। অতএব তোমরা আছরের শেষ সময়ে তা তালাস করো। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ১০৪৮, নাসাঈ, হাদিস নং : ১৩৮৯)

আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (২/৩৯৪)। ইমাম আহমদ (রহ.)-ও একই কথা বলেছেন। (তিরমিজির ২য় খণ্ডের ৩৬০ নং পৃষ্ঠায় কথাটি উল্লেখ আছে)

মোটকথা, জুমার দিনে বান্দা দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন। এসময় সম্পর্কে আরো কিছু অভিমত তুলে ধরা হলো-

জুমার নামাজে সুরা ফাতিহার পর ‌আমিন বলার সময়। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে। মুয়াজ্জিন আজান দেয়ার সময়। জুমার দিন সূর্য ঢলে পড়ার সময়। ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরে দাঁড়ানোর সময়। উভয় খুতবার মধ্যবর্তী সময়। জুমার দিন ফজরের আজানের সময়। প্রত্যেক জুমায় আলাদা আলাদা সময়ে।

গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য কথা হলো, দোয়া কবুলের সময়টি পুরোদিনের ভেতর লুকিয়ে আছে। পুরোপুরি নির্ধারিত না করার উদ্দেশ্য হলো, বান্দা যেন জুমার দিন সর্বদা ইবাদত-বন্দেগি ও দোয়ায় মশগুল থাকে।

জুমার দিনে মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফ হওয়ার ঘোষণা রয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও এক জুমা থেকে অন্য জুমা মাঝের সব গুনাহকে মাফ করে দেয়; যতক্ষণ পর্যন্ত সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত না হয়।’ (মুসলিম)

তিনি আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, সে সময়টিতে একজন মুসলমান যে কল্যাণের দোয়া করবে, অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করবেন।’ (মুসলিম)

আর এটি আসরের একেবারে শেষ সময়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আসরের পরে একবারে শেষ সময়ে দোয়া করো।’ (আবু দাউদ)

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পৃথিবীতে জুমার দিন বনি আদম ছাড়া সব প্রাণী কিয়ামত হয়ে যাওয়ার ভয়ে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত কান পেতে থাকে।’ নাসায়ি।

জুমার দিনের ফজিলত মোমিনের জন্য জান্নাত পর্যন্ত বিস্তৃত। জান্নাতে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো আল্লাহর দর্শন লাভ।

লাইলাতুল কদরে দোয়া

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি বলে দিন যদি আমি জানতে পারি যে, শবেকদর কোন রাতে হবে, তাতে আমি কী বলব? রাসুল (সা.) বললেন- তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আননি।’

(অর্থ) হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাস। অতএব, আমাকে ক্ষমা করো। (তিরমিজি)

দুনিয়াবি ব্যস্ততা ও গুনাহের কাজ থেকে বিরত থেকে এ সময়ে বেশি বেশি ইবাদত ও দোয়ায় মগ্ন থাকতে হবে।

কদরের তালাশে সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করাটাই মূল বিষয়। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ, সালাতুস তাসবিহ, উমরী কাজা নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দান-সাদকা, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইসতেগফার, দুয়া-দুরূদসহ ইত্যাদি নফল আমলের প্রতি মনযোগী হওয়া একান্ত জরুরি।

এসএ/