ধর্ষণ-হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৫ এএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চম্পা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসাইন (৩০) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। নিহত সাজ্জাদ পেকুয়া উপজেলা সদরের শেখেরকিল্লা ঘোনা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১২ মে) ভোররাতে চকরিয়া উপজেলার মরংঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি চকরিয়া উপজেলার মরংঘোনা এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসা চম্পাকে চলন্ত সিনএনজি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিল সাজ্জাদ ও সিএনজি চালক।
জানা গেছে, লকডাউনের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে গত ৬ মে কক্সবাজারের খরুলিয়ার তরুণী চম্পা চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বার বার গাড়ি পাল্টিয়ে সর্বশেষ পেকুয়ার জয়নালের সিএনজি যোগে তিনি চকরিয়া আসার পথে চালক কৌশলে রাত করে। পরে চম্পাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে মরদেহ চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা এলাকার আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপরে ফেলে দেয়া হয়। পরে চকরিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এর পরদিন নিহত তরুণীর বাবা নছিমন চালক রুহুল আমিন, আপন বোন, ভগ্নিপতি, ভাগ্নেসহ চারজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা করেন।
এরপর ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে র্যাব। পরে এ ঘটনায় জড়িত সিএনজি চালক জয়নালকে (১৮) আটক করা হয়। জয়নাল পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা নন্দীরপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
জয়নালের স্বীকারোক্তি মতে র্যাব জানতে পারে, সাজ্জাদ নামে অপর একজন যুবক এ ঘটনায় জড়িত। তারা দুইজন মিলে চম্পাকে পেকুয়া-চকরিয়া সড়কের নির্জন ব্রিজ এলাকায় ধর্ষণ করে। এরপর সিএনজিতে তুলে চলন্ত অবস্থায় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি গাড়ির সামনে ছুড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় চম্পা। র্যাব অভিযুক্ত সাজ্জাদকে ধরতে বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে অভিযান চালায়। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
সর্বশেষ সোমবার (১১ মে) সকালে র্যাবের একটি দল সাজ্জাদের চাচাতো ভাই প্রতিবন্ধী নেজাম উদ্দিন ও আবদুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সাজ্জাদকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে একইদিন সকাল ১০টার দিকে শেখের কিল্লা ঘোনার একটি বাড়ি থেকে স্থানীয়রা সাজ্জাদকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশকে সোপর্দ করে।
চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, সাজ্জাদকে আটক করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করে পেকুয়া থানা পুলিশ। ভোররাতে আটক সাজ্জাদ তার কাছে থাকা অস্ত্রের সন্ধান দেবে বলে পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে হামলাকারীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাজ্জাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
এসএ/