ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রোগী ফেরত পাঠালে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার

জরুরি চিকিৎসা সুবিধা থাকলে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর এখন আর কোনো রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফেরত পাঠানোর সুযোগ নেই বলে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর পাশাপাশি কোনো রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করার প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কভিড হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই রেফার করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব (সাময়িকভাবে সংযুক্ত) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা গতকাল জারি করা হয়। 

এরই মধ্যে নির্দেশনাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সংশ্লিষ্ট সব বিভাগীয় পরিচালকসহ (স্বাস্থ্য) বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিএমএ) সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। অসংক্রামক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মারাত্মক অসুস্থ রোগীরাও বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, এমন ঘটনার কথাও শোনা যাচ্ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকদের মালিকদের প্রতি নন-কভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা চালুর বিষয়ে একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়। ওই সময় হাসপাতাল মালিকদের পক্ষ থেকে নন-কভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তা না মানার অভিযোগ ওঠে হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লিখিতভাবে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এসব নির্দেশনা না মানলে ও এ-সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে লাইসেন্স বাতিলসহ হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমবি//