মোবাইলে বার্তা পাঠালেই মিলছে খাবার!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার
মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আরোপিত লকডাউনের মধ্যে মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে খাবার পাচ্ছেন তিউনিসিয়ার নাগরিকরা। দেশটির একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) খাদ্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। তিউনিসিয়ার তিন শতাধিক অভাবী পরিবারকে মোবাইল বার্তার মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহ করছে সংস্থাটি।
রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে এ উদ্যোগটি এপ্রিলের শেষে শুরু হয়েছিল। তিউনিসিয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে লকডাউনের কারণে চাকরি হারিয়েছে- এমন পরিবারকে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যেমন মেসাউদা রাউয়াফির মতো একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
৪৯ বছর বয়সী এ নারী এএফপিকে বলেন, ‘রমজান ও লকডাউনের কারণে আমি আর কাজে বের হতে পারছি না। আমি ঘর পরিষ্কার করতে পারছি না এবং আমার সাত সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারছি না।’
তিউনিসিয়ার মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্বাচিত ৩০০ পরিবারের মধ্যে ওই নারীর পরিবারও রয়েছে। ‘টেকসই খাদ্য ব্যাংক’ নামের এ সংস্থাটি তাদের সহায়তা দিচ্ছে। এ উদ্যোগের আওতায় রউয়াফি মোবাইল বার্তার মাধ্যমে একটি কোড পেয়েছেন, যার মাধ্যমে তিনি বিশেষভাবে নির্ধারিত মুদি দোকানে সাপ্তাহিক ৪০ থেকে ৬০ তিউনিসিয়ান দিনার (প্রায় ২১-৩২ ডলার) ব্যয়ে খাদ্য কিনতে পারেন। সেই অর্থের সাহায্যে রাউয়াফি তেল, দুধ, কফি এবং ময়দার মতো প্রাথমিক পণ্য কিনতে সক্ষম হচ্ছেন।
এ প্রকল্পে অংশ নিয়েছেন ক্রাম জেলার মুদিদোকানদার ফারাহ। তিনি বলেন, ‘সময়ের আগেই আমাদের কাছে টাকা পাঠানো হয়। এভাবে নির্ধারিত ভোক্তারা তাদের বরাদ্দকৃত তহবিলের সাহায্যে তারা যা চায় তা কিনতে পারে।’
এনজিও’র এক সদস্য আয়েশা জাকরাউই বলেন, তিনি আশা করছেন তিউনিসিয়াজুড়ে অভাবী পরিবারের মাঝে খাবার পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ উদ্যোগ আরও বড় হবে। এনজিওটির লক্ষ্য হল শাকসবজি চাষ, রুটি বানানোর মতো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গরিব পরিবারকে আরও স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করা।
জাকরাউই আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য অভাবী লোকদের খাদ্য সহায়তা দেয়া এবং এর বিনিময়ে তারা সামাজিক ও পেশাগতভাবে তাদের সংহত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগে অংশ নিতে সম্মত হবে।’
তিউনিসিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩২ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।
এমবি//