ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাড়িতে বসেই প্রবাসীর মেধাবী সন্তানরা পাচ্ছেন শিক্ষা বৃত্তির চেক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ১২ মে ২০২০ মঙ্গলবার

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গণপরিবহন চলাচলের নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার প্রবাসী কর্মীর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের ৬ জন মেধাবী সন্তানের শিক্ষা বৃত্তির ১,৬৫,০০০/= টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও  জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ।

মঙ্গলবার (১২ মে) এ চেক হস্তান্তর করা হয়। 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড  থেকে এসএসসি ক্যাটাগরিতে ২০২০ সালের বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতি শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ২৭,৫০০/= টাকার চেক দেওয়া হয়। সাথে ছিলেন জনশক্তি জরিপ অফিসার মোঃ ইব্রাহিম এবং অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র (এমআরসি), কুমিল্লার কাউন্সেলর মোঃ ইকবাল হোসেন ও মোঃ ফাহিম ফেরদৌস।     
 
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরাসার বাজার ও পীরবাড়ি, সরাইল উপজেলার বেড়তলা বাজার, সরাইল সদর ও কালিকচ্ছ বাজার এবং আশুগঞ্জ উপজেলার খড়িয়ালা, বাহাদুরপুর, আশুগঞ্জ সদর, সোনারামপুর, সোহাগপুর ও কামউড়া বাজারসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মরণঘাতি করোনার বিস্তার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচারণা চালানো হয়।         

সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও রেমিটেন্স আহরণে অন্যতম শীর্ষে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আমাদের পূর্ণাঙ্গ কোন অফিস নেই। কুমিল্লা জনশক্তি অফিসের মাধ্যমে এ জেলার অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সরকারি সেবাসমূহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।  

সম্প্রতি এ জেলায় অনেক মানুষ বিদেশ থেকে প্রত্যাগত হয়েছেন। তাদের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে তারা সবাই যেন সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলেন তা অবহিত করতে আমরা কুমিল্লার অনুরূপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, আখাউড়া, নবীনগর, নাসিরনগর, কসবা, বাঞ্ছারামপুর, সরাইল এবং বিজয় নগর) উপজেলার গ্রামগঞ্জে গত ২মে ২০২০ তারিখ হতে প্রচারণা শুরু করেছি। 

এ সময় কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনসাধারনকে তাদের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়ে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রচার করা হয়। এর পাশাপাশি কোভিড-১৯-এর উপসর্গ এবং প্রতিকার সম্পর্কিত তথ্যসমৃদ্ধ সচেতনতামূলক লিফলেট, গ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। হ্যান্ড সানিটাইজার দিয়ে তাৎক্ষণিক হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অভিবাসী তথ্য কেন্দ্র (এমআরসি), কুমিল্লা প্রচারণায় সহযোগিতা করেন।   

প্রসঙ্গত কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ১১-২৫ এপ্রিল, ২০২০ টানা ১৫ দিন  জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই প্রচারণা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে তিনি জানান । এ সময় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সমগ্র বাংলাদেশকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণাসহ নির্দেশনা এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপাসনা/প্রার্থনা সম্পর্কিত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনের জন্য বারংবার অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে করোনা পরিস্থিতির কারণে অভিবাসী কর্মীদের প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হয়।  

প্রচারণায় জনসাধারণকে অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি অথবা আড্ডা না দিতে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য বলা হয় । ঘোষণায় বলা হয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না, যদি বেরোতেই হয় তবে অবশ্যই মুখে মাস্ক পরিধান করুন, ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। এছাড়া কারো মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে অথবা রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) এর হটলাইনে (১০৬৫৫) যোগাযোগের জন্য বলা হয়। 

এছাড়াও যেকোন জরুরি প্রয়োজনে ন্যাশনাল কল সেন্টার ৩৩৩, ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯, স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ এবং  বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন ০৯৬১১৬ ৭৭৭৭৭ নাম্বারসমূহে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়।  

দেবব্রত ঘোষ বলেন, বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় তারা যেন পরিবার থেকে আলাদাভাবে অন্তত ১৪ দিন কোয়রেন্টিনে থাকেন। দেশের বাইরে থেকে তথ্য সহায়তা পেতে প্রবাস বন্ধু কল সেন্টারের নম্বর সমূহে (+৮৮০১৭৮৪৩৩৩৩৩৩, +৮৮০১৭৯৪৩৩৩৩৩৩, +৮৮০২-৯৩৩৪৮) ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।  

এসি