মালয়েশিয়ায় অভিযানে বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার ১৩৬৮
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ১৩ মে ২০২০ বুধবার
বিশেষ অভিযানে মালয়শিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ
মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডারের (এমসিও) মধ্যেও বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। এ সময় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১৩৬৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মে) মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বৈধ-অবৈধ অনেকের কাজ না থাকায় তারা দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। তার মধ্যে ইমিগ্রেশনের এমন কঠোর অভিযানে বৈধ ও কাগজপত্রহীন সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (১১ মে) রাজধানীর কুয়ালালামপুরের পাইকারি বাজার পাচার সেলাইয়াংয়ে স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টায় শুরু হয় এ অভিযান। কুয়ালালামপুর পুলিশের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় ইমিগ্রেশন বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের ১১শ’র বেশি বিশাল বাহিনী। এ সময় ৭ হাজার ৫৫১ জন বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র চেকিং শেষে বৈধ নথিপত্র না থাকায় গ্রেপ্তার করা হয় ১ হাজার ৩৬৮ জন অভিবাসীকে।
আটককৃতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ৭৮ জন পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার ৪২১, ইন্ডিয়ার ৫৪, পাকিস্তানের ৬, মিয়ানমারের ৭৯০ জন এবং বাকিরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এদের মধ্যে- পুরুষ ১০০৯ জন, নারী ২৬১ জন রয়েছে এবং তাদের সাথে থাকা ছেলে-মেয়েসহ ৯৮ জন, সর্বমোট ১৩৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃতদের কাছে কোনো বৈধ ভিসা বা বৈধতার কোনো কাগজপত্র না থাকায় প্রত্যেককে আদালতে সোপর্দ করে ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী শাস্তি শেষে যার যার দেশে কালো তালিকাভুক্ত করে ফেরত পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, কোনো প্রবাসীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলে ৫ বছরের ভিতরে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
দেশটির সরকার বারবার সতর্ক করে আসছে এদেশে কেউ অবৈধভাবে বসবাস করতে পারবে না। অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করে বিচার শেষে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এছাড়া কিছুদিন আগে এক ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, তোমরা তোমাদের জীবন দিয়ে দৌড়াতে পারবে কিন্তু পালিয়ে বাঁচতে পারবে না।
এদিকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আটকের ব্যাপারে কোনো সংগঠন যেন বাড়াবাড়ি না করে সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন সরকারের সিনিয়র একজন মন্ত্রী।
এনএস/