ল্যাব থেকেই এসেছে করোনা, দাবি ভারতীয় মন্ত্রীর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি
প্রকৃতি থেকে নয়, ল্যাব থেকেই এসেছে করোনাভাইরাস বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একজন সদস্য। এরআগে করোনাভাইরাস চীনের ল্যাবে তৈরি–এমন দাবি বহুদিন ধরে করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
এনডিটিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিজেপি নেতা ও ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি বুধবার এমন মন্তব্য করেন। এদিন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে করোনাভাইরাসের ‘ল্যাব তত্ত্ব’ হাজির করেন গড়কড়ি।
গড়কড়ি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সঙ্গে জীবন-যাপনের শৈল্পিক দিকটি আমাদের বুঝতে হবে। এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। এটি কৃত্রিমভাবে তৈরি একটি ভাইরাস। অনেক দেশে এ ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে এবং টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগির এর টিকা পাওয়া যাবে। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
ভাইরাস শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে গড়কড়ি বলেন, ‘আমাদের এমন একটা পদ্ধতি বের করতে হবে যাতে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ভাইরাস শনাক্ত করতে পারি। এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণ হলো, ভাইরাসটি ল্যাবে তৈরি। এটি প্রাকৃতিক নয়। তবে বিশ্ব এখন প্রস্তুত, ভারত প্রস্তুত, বিজ্ঞনীরাও প্রস্তুত। টিকা পাওয়া গেলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক যুদ্ধেও জড়াতে হয়েছে ভারতকে। এ বিষয়ে গড়কড়ি বলেন, ‘আমরা একটি গরীব দেশ। ফলে মাসের পর মাস এখানে লকডাউন বহাল রাখা সম্ভব নয়।’
তবে কীসের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসকে ‘ল্যাবে তৈরি ভাইরাস’ বলেছেন সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা গড়কড়ি দেননি।
করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে সম্প্রতি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি, চীনের উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, ‘নতুন করোনাভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। ফলে বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তবে এ ভাইরাসটি মানুষের তৈরি নয়। এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ভাইরাসটির উৎস প্রকৃতিতে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। দেশটির দাবি, নিজ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় নজর ঘোরাতে বেইজিংকে দোষারোপ করছে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির ৮৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর ভারতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজারেরও বেশি। মারা গেছেন অন্তত ২ হাজার ৫৫১ জন।যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য চীনকে দায়ী করে আসছে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এমবি//