ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

দীন ইসলাম হত্যাকাণ্ড ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৮ পিএম, ১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার রহমতপুর গ্রামের দীন ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টায় লিপ্ত একটি প্রভাবশালী মহল। দীন ইসলামকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে দাবি পরিবার ও স্থানীয়দের। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে প্রতিপক্ষরা।

এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন। গত ১১ মে তাহিরপুর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রহমতপুর গ্রামের দীন ইসলামের সাথে একই এলাকার বাদাঘাট ইউপি সদস্য জাকির, কামরুল, আক্তার মিয়া গংদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল ইউপি সদস্য জাকিরের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র তার ওপর হামলা চালায়। 

মনোয়ারা খাতুন বলেন, এসময় আমাকে বেধড়ক মারপিট করে মারাত্মক জখম করে এবং আমার স্বামী দীন ইসলামকে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি, লাথি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ঘরের পেছনের গর্তে ফেলে দেয়। এতে ঘাড় ও বুকে  মারাত্মকভাবে আঘাত পায় সে। ঘরে থাকা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। একইদিনে আমার স্বামী থানায় দরখাস্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইউপি সদস্য জাকিরের বাড়ির সামনে তাকে পুনঃরায় মারপিট করে জখম করে। করোনার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব না হলে এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে তার চিকিৎসা করানো হয়। অসুস্থাবস্থায় ঘটনার একদিন পর ১৫ এপ্রিল দুপুরে নিজবাড়িতে মারা যান দীন ইসলাম। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, খবর পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং সুরতহাল রিপোর্টসহ ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করতে চাইলে আসামি পক্ষের লোকজন মিমাংসা করিয়ে দিবে মর্মে ওসিকে অনুরোধ করলে তিনি সাদা কাগজে টিপ স্বাক্ষর নিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দেন। কিন্ত ঘটনার কয়েকদিন পর মিমাংসা তো দূরের কথা উল্টো হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ অবস্থায় দরখাস্তখানা আমলে নিয়ে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তক্রমে আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। 

বাদাঘাট ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ০১৭৬৩৪৫৩৩৫১ নম্বরে ফোন করা হলে তিনি কল ধরেননি। তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, দীন ইসলাম মারা যাওয়ার দিন ঘটনাস্থলে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে গত ১১ মে দীন ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের একটি অভিযোগ পেয়েছি।

এনএস/