ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভাতা প্রদানে নেই সামাজিক দূরত্ব, ঝুঁকিতে বয়স্করা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০ পিএম, ১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৪২ পিএম, ১৪ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

বয়স্কভাতা প্রদানের চিত্র- ছবি একুশে টিভি।

বয়স্কভাতা প্রদানের চিত্র- ছবি একুশে টিভি।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে করোনার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন বয়স্ক ব্যক্তিরা। সুনামগঞ্জের শাল্লায় এই বয়স্কদের ভাতা বিতরণ ও গ্রহণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোনোরূপ সামাজিক দূরত্ব। ফলে করোনার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন শাল্লাবাসী। 

জানা যায়, শাল্লায় এ পর্যন্ত মোট ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা ১১ টায় সরেজমিন পরিদর্শনে পুরাতন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বয়স্ক ভাতা বিতরণে দেখা যায়, কোনোরূপ সামাজিক দূরত্ব না মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন শত শত বয়স্ক মানুষ। দেখা যায়নি আইন-শৃংখলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে। ভিড় সামলাতে অনেকটা হিমসিম খাচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তা। 

জানা যায়, ভিড় সামলাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম ব্যাংক ভবন থেকে পুরাতন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আনা হয়। আর এ কার্যক্রমে দায়িত্ব দেয়া হয় মাত্র একজন কর্মকর্তাকে। ভবনটির সামনে যথেষ্ট খোলা জায়গা থাকলেও আইন-শৃংখলা বাহিনী ও ব্যাংক কৃর্তপক্ষের পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি 

এ ব্যাপারে বয়স্ক ভাতা প্রদান কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ ফখর উদ্দিন জানান, তিন ফুট দূরে দূরে গোল চিহ্ন দেয়া হয়েছে; কিন্তু কেউই তা মানছেন না। তাছাড়া আমি একা একা তাদেরকে টাকা দেবো না ভিড় সামলাবো!

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক শাল্লা শাখার ব্যবস্থাপক সুমিত সিংহ বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা মিটিং করেছি। একজন আনসার সদস্য রাখা আছে। তাছাড়া ভাতা প্রদানকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শাল্লা থানা অফিসার ইনচার্জকেও চিঠি দিয়েছি। 

এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি চিঠি পাইনি। তাছাড়া এ সময় চিঠির প্রয়োজন কি? ফোনে জানালেই তো আমরা যেতে পারি। 

এনএস/