ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

পানি জাদুঘর

একুশে টেলিভিশন লিমিটেড

প্রকাশিত : ০১:৩৯ এএম, ১৫ মে ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:২৩ পিএম, ৩ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

কেও ঝর্ণা দেখতে  ছুটে যাই, কেওবা সমুদ্র দেখতে, কেও আবার নদী দেখতে, পানির সৌন্দর্যকে কত ভাবেই আমরা উপভোগ করি বিভিন্ন জায়গার পানি এক জায়গায় দেখতে , পানিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে যেতে পানে দেশের একমাত্র পানি জাদুঘরে, বাংলাদেশের মানুষের নদী-কেন্দ্রিক জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে একশন এইড নামের একটি এনজিও ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর পটুয়াখালীতে পানি জাদুঘর স্থাপন করে।  এটি বিশ্বের অষ্টম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পানি জাদুঘর।

পানি জাদুঘরে বিভিন্ন জায়গার পানি, বাংলাদেশের ৭০০ নদ নদীর ইতিহাস, নদীর ছবি, পানির ইতিহস, এছাড়াও আছে জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার চিত্র সহ বিভিন্ন তথ্য।  আরো আছে নদী নিয়ে গান, গ্রামবাংলার মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ পল্লী শিল্প।  কাঁসা ও মাটির তৈরি তৈজসপত্রও এখানে আছে।  সবচেয়ে যে বিষয়টি আপনাকে উৎসাহী করতে তা হলো বাংলাদেশের সঙ্গে ৫৭ টি আর্ন্তজাতিক অভিন্ন নদীর ইতিহসা।

পানি জাদুঘরে প্রবেশ পথের সম্মুখেই দেখতে পাবেন বাঁধ তৈরির ফলে শুকিয়ে গেছে নদী।অর্ধ বালুতে ডুবন্ত নৌকার বুকে বিধে আছে দুটি গজাল লোহা। নৌকা শুকিয়ে যাওয়া নদীতে পড়ে আছে। এই সব দিয়ে নদীতে বাঁধ তৈরির ফলে   নদী ও নদীমাতৃক বাংলাদেশকে খুনের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আরো আছে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তনের দৃশ্য।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা এলাকার এবং কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে একটি দ্বিতল ভবনে পানি জাদুঘরটি রয়েছে।   
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস-এর সহযোগিতায় কলাপাড়া উপকূলীয় জনকল্যাণ সমিতি পরিচালনা করছে এই জাদুঘরটি। সপ্তাহের মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। দর্শনার্থী ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০টাকা।
সূত্র-উইকিপিডিয়া
এস ইউ আহমদ