ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড, মৃত্যু ১৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৪ পিএম, ১৫ মে ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:০৬ পিএম, ১৫ মে ২০২০ শুক্রবার

মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ২০২ জনের শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটাই সর্বাধিক শনাক্ত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৬৫ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও ১৫ জন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯৮ জনে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সুস্থ হয়েছেন ২৭৯ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন তিন হাজার ৮৮২ জন। 

শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও নয় হাজার ৫৩৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আট হাজার ৫৮২টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো এক লাখ ৬০ হাজার ৫১২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও এক হাজার ২০২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। 

নাসিমা সুলতানা জানান, এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৮-এ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৯ জন। আগের ২৪ ঘণ্টায়ও সুস্থ রোগী ছিলেন, যা গতকালের বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়নি। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৮৮২ জন।

নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের সাতজন পুরুষ ও আটজন নারী। বয়সের দিক থেকে একজন অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের, একজন ত্রিশোর্ধ্ব, আটজন পঞ্চাশোর্ধ্ব, তিনজন ষাটোর্ধ্ব এবং দুজন ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী বলে জানান ডা. নাসিমা।

ডা. নাসিমা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।

এদিকে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বজুড়ে আবারও বেড়েছে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের ৯৬ হাজার ৩৩৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যাতে মোট সংখ্যা এখন ৪৫ লাখ প্রায় ২২ হাজার। ভাইরাসটির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন নতুন করে ৫ হাজার ৩১৭ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৮২ জনে ঠেকেছে। আর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার সংখ্যা ১৭ লাখ ৩ হাজার ২৭ জনের।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

এমবি//