চেক প্রজাতন্ত্র ভ্রমন
একুশে টেলিভিশন লিমিটেড
প্রকাশিত : ০১:১৯ এএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০১:২৪ এএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার
গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০১৮ জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের নিরাপদ দেশের তালিকায় চেক প্রজাতন্ত্রের স্থান ৭ম।এছাড়াও প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক ‘ইন্টারন্যাশনস’ নামক প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে গবেষণা জরিপ করে শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র।
ঐতিহ্যবাহী চেক দ্রব্যের মধ্যে আছে সূক্ষ্ম স্ফটিক ও বিয়ার। পর্যটনও দেশটির আয়ের অন্যতম উৎস। দেশটির অতিথিরা প্রাগের স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। শহরটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা হামলার ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়।
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানীর সৌন্দর্যেই আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন, আরো আছে বিস্তৃত পবৃত মালা, ঐতিহাসিক স্পা কালচার, আধুনিক স্থাপত্য ও ঐতিয্যগত বিয়ারের স্বাদ নিতেও বাধা নেই।
প্রজাতন্ত্রকে চারটি দেশ ঘিরে রেখেছে। দেশটির উত্তরে পোল্যান্ড, পূর্বে স্লোভাকিয়া, দক্ষিণে অস্ট্রিয়া এবং পশ্চিমে জার্মানি। মাত্র দুই তিন ঘণ্টার প্লেন অথবা বাসে ভ্রমণ করে পৌঁছে যেতে পারবেন পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে।
চার্লস ব্রিজ– যেখানে পর্যটকদের ঢল
প্রাগ শহরের একটি বিশেষ প্রতীক ১৪শ’ শতকের ব্রিজটি ৷ ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে ভ্লাতাভা নদীর ওপরে, ব্রীজটি দুর্গের সঙ্গে পুরোনো শহরের সংযোগ করেছে ৷ দিনের বেলা এই ব্রিজটি দেখলে মনে হবে এ যেন একটি আর্ট গ্যালারি৷ এখানে রয়েছে ৩০টি বারোক মূর্তি ৷
ছোট-বড় পর্বতগুলো
দেশটির উত্তরে রয়েছে বিরাট বিরাট পর্বতের সারি৷ ১৯৫৩ সাল থেকে এটি একটি ন্যাশনাল পার্ক৷ এখানে বরফ পড়ার সময় স্কিসহ বিভিন্ন শীতকালীন খেলার জন্য এই জায়গাটি পর্যটকদের খুব পছন্দ৷ এখানে থাকতে চাইলে আছে থাকার চমৎকার সব জায়গা৷ তবে পাহাড়ি এই এলাকাটির ব্যাপ্তি খুব মাত্র ৩৬ কিলোমিটার৷
নিরাময়ের আশায় গোসল
বোহেমিয়াতে স্পা-কে কেন্দ্র গড়ে উঠেছে অনেক বিখ্যাত রিসোর্ট ৷ বোহেমিয়াতে স্বাস্থ্যকর স্পা’র ঐতিহ্য বহু পুরোনো৷ মধ্যযুগ থেকে পানির খনিজ উপাদান ও ৬০ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রা গোসলের মাধ্যমে নিরাময়ের একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে এখানে
প্রাসাদ ও দুর্গ
প্রাগে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পরিমানে প্রাসাদ ও দুর্গের রয়েছে ৷ দেশটিতে এমন স্থাপনা আছে দুই সহস্রাধিক ৷ এর মধ্যে দর্শনার্থীরা সবচেয়ে বেশি যান দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের লেডনিসে ক্যাসেল এ ৷ ১৭শ’ শতকে স্থাপিত এই অংশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পার্ক ল্যান্ডস্কেপ৷ এটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷
ঐতিহাসিক শহর– তেল্চ
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত দক্ষিণের পুরোনো শহর তেল্চ ৷ রেনেসাঁ ও বারোক যুগের স্থাপত্যকলায় নির্মিত টাউন হাউসে ঘেরা এই শহরটি খুবই সুন্দর৷ এখানে একটি চমৎকার ক্যাসেলও আছে৷
চেক বিয়ার
বিয়ার প্রেমীরা যেতে পারেন চেক প্রজাতন্ত্রে। এই দেশটিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিয়ার পান করা হয় ৷ বোহেমিয়াতে শতকের পর শতক ধরে বিয়ার তৈরি করা হয়৷ নানা রকমের চেক বিয়ার বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত৷ তার মধ্যে অন্যতম স্টারোপ্রামেন, গামব্রিনুজ বা পিলসনার উরকুয়েল, বুডভাইজার, বিয়ার এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে
বিয়ার এখন দেশটির প্রধান পানীয়তে পরিণত হয়েছে৷
এস ইউ এ