ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১২:৪৫ পিএম, ১৭ মে ২০২০ রবিবার
ভারতে আবারও একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। যদিও, পূর্বের তুলনায় বেড়েছে সুস্থতার হার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আজ রোববার এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৪ হাজার ৯৮৭ জনের শরীরে করোনা চিহ্নিত হয়েছে। এতে আক্রান্ত বেড়ে ৯০ হাজার ৯২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দু’দিনেই লাখ ছাড়াবে সেখানে আক্রান্ত।
এদিকে একই সময়ে আরও ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে দেশটিতে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজার ৮৭২ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। সে অনুযায়ী সুস্থতার হার ৩৭.৫১ শতাংশ।
করোনা সবেচেয়ে সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাডু, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলোতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে সংক্রমণের এক-তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের। সেখানকার সংক্রমণের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ৬০৬। একদিনে আক্রান্তের হিসেবে এটা নতুন রেকর্ড। এর আগে তা ছিল ৮৮৪। মুম্বাইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৫৫ জন।
আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে তামিলনাডুতে। এদিকে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার পেরিয়েছে। গত একদিনেই সেখানে ৪৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত ১২৯ জনের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে করোনা সংক্রমণ রুখতে কী করতে হবে, কী করা যাবে না তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মূলত শহুরে এলাকায় সংকীর্ণ স্থানে বহু মানুষকে যেখানে বাস করতে হয়, সেখানে এই তালিকা মেনে চললে করোনা সংক্রমণের মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিল্প ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসস্থানের ক্ষেত্রে নিরাপদ পানীয় জলের অভাব, শৌচ অবস্থার শোচনীয় দশা ও নিরাপত্তাহীন বসবাসের বন্দোবস্তের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার মধ্যে ফারাক রয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার কেরলে নতুন করে ১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর ফলে রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭। গত ১০ মে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, সেখানে সংক্রমণ কমে গিয়েছে অনেকটাই। মাত্র ২০ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন সেখানে। কিন্তু ছয়দিনের মধ্যে সেখানে ৮৭টি সংক্রমণের ঘটনা সামনে এল।
অন্যদিকে দেশব্যাপী লকডাউনের তৃতীয় পর্যায় শেষ হচ্ছে আজ। স্বাভাবিকতা ফেরানোর লক্ষ্যে সরকার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবছে।
রোববার করোনা মহামারির ধাক্কায় বেসামাল ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সেই প্যাকেজ কোন খাতে কীভাবে খরচ হচ্ছে সেবিষয়ে পরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে ব্যাখ্যা করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আজ তিনি এ বিষয়ে পঞ্চম বৈঠক করবেন।
এআই//