ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১১ ১৪৩১

দুই সিজদার মাঝখানের দো’য়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৩ পিএম, ১৮ মে ২০২০ সোমবার

নামাজ মানেই আল্লাহর প্রশংসা। তাই নামাজের প্রত্যেক রুকনে দোয়া, তাসবিহ, তাহলিলের মধ্যে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে চায়। এ সব দোয়া ও জিকির কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকেও রয়েছে আল্লাহ তাসবিহ এবং দোয়া।

হজরত ইবনে আব্বার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বলতেন-

উচ্চরণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ারযুকনি।’ (মুসলিম, মিশকাত)

অর্থ : হে আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করুন, আমাকে রহম করুন, আমাকে হেদায়েত দান করুন, আমাকে শান্তি দান করুন এবং আমাকে রিজিক দান করুন।

হজরত হুজায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকে এ দোয়াটি পড়তেন-

উচ্চারণ : রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী। (ইবনু মাজাহ, আবু দাউদ)

অর্থ : হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।

এখানে যে গুরুত্বপূর্ণ দো’য়া আছে, এই দো’য়াগুলো পাঠ করার সর্ব্বোত্তম সময় হল দুই সাজদার মাঝখানের বৈঠকে। আমরা দিনে-রাতে কম করে হলেও ৩২ রাকাত সলাত আদায় করি। আমরা যদি দুই সাজদার মাঝখানে এই দো’য়াটি পড়ি তবে দিনে-রাতে ৩২ বার এই দো’য়া পাঠ করা হবে। 

কথাগুলোর প্রতি লক্ষ্য করুন, কি অসাধারণ কথা, যা আপনি আল্লাহকে বলছেন। আপনি বলছেন:
১. হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন।
২. আমাকে রহমত করুন।
৩. আমাকে হিদায়াত দান করুন।
৪. আমাকে রিজিক দান করুন
৫. আমাকে সুস্থতা দান করুন। 

প্রতিদিন কম করে ৩২ বার আপনি আল্লাহকে বলছেন, ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, রহমত করুন, হিদায়াত দান করুন, রিজিক দিন এবং সুস্থতা দান করুন।’ 

এই সুস্থতার মধ্যে কিন্তু করোনা থেকে মুক্ত থাকার কথাও যুক্ত আছে। চিন্তা করে দেখুন দিনে-রাতে আপনি ৩২ বার এই দো’য়ার মাধ্যমে সুস্থতা চেয়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চেয়ে আল্লাহর নিকট দো’য়া করছেন। কি অসাধারণ!

কিন্তু দু:খের সাথে বলতে হয় যে, আমাদের সমাজের অধিকাংশ মুসল্লি এই দো’য়াটি জানেন না, ফলে তারা দুই সাজদার মধ্যে দো’য়াটি পাঠ করেন না।

অনেক বিষয় আছে তা আল্লাহর নিকট না চাইলেও তিনি তাঁর বান্দাকে দিবেন। আবার অনেক বিষয় আছে যা আমাদের অবশ্যই তাঁর নিকট চাইতে হবে, না চাইলে তিনি দিবেন না। 

রাসূলুল্লাহ (সা.) এই শেখানো দো’য়ার মাধ্যমে আমাদের চাইতে বলা হয়েছে।

আমাদের কি হল যে আমরা চাইব না? আসুন আমরা এই দো’য়াটি যথানিয়মে, যথাস্থানে এবং যথাসময়ে পাঠ করি এবং অশেষ ফজিলত অর্জন করি।
এসএ/