নওগাঁয় পুলিশি নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:৪৬ পিএম, ১৮ মে ২০২০ সোমবার
নওগাঁয় নরেশ চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সদর থানার এএসআই মাসুদ। নিহত নরেশ নওগাঁ শহরের মুন্সিপাড়ার নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে।
রোববার (১৭মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে পরেশ অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল থেকে বাবাকে এএসআই মাসুদ তিনবার ফোন করে ডাকেন। বাবা বাহিরে যাননি। পরে সন্ধ্যার দিকে এএসআই মাসুদসহ দু’তিনজন বাড়িতে এসে বাবাকে ডেকে নিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে ডা. শাহিদার চেম্বারের পাশে বাবা চিৎকার করছিল। এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তি টর্চ লাইট মারলে এএসআই মাসুদসহ কয়েকজনকে থানার দিকে দৌঁড়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা এসে দেখেন বাবা অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে আছে। এরপর উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবা আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন।’
নিহতের স্ত্রী রিতা রানী বলেন, ‘মানুষ যতই অপরাধ করুক না কেন তাকে তো পিটিয়ে মেরে ফেলার কোন অধিকার কারো নাই। স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলায় ওই অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।’
অভিযুক্ত এএসআই মাসুদ বলেন, ‘আমি যে নরেশ চন্দ্র দাসকে ফোন করেছি, ফোন ট্যাগ করলেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তবে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসা বা পিটিয়ে মেরে ফেলার সাথে সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেন তিনি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, ‘নিহত নরেশ একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিল। তার বিরুদ্ধে ৫/৬টি মাদকের মামলা আছে। থানায় নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। লাশ পোষ্ট মর্টেমে পাঠানো হয়েছে। নির্যানের কারণে মৃত্যু হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মুনির আলী আকন্দ বলেন, ‘পুলিশি নির্যাতনের বিষয় ছিল কিনা তা জানিনা। তবে বাহিরে মারা যাওয়া এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়না তদন্তের পর কিভাবে মারা গেছে সে বিষয়টি জানা যাবে।’
জানা গেছে, নরেশ চন্দ্র দাস এক সময় মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে মুদি দোকান করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন।
এআই//