ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রিযিক নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত : ১৫:৪১, ১৩ মে ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

রিযিক নিয়ে মানুষ খুব বেশি দুশ্চিন্তায় ভোগে। এটাও একটি মনোরোগ। অথচ আল্লাহতায়ালা তার জন্য রিযিকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে সে আমলের ব্যাপারে উদাসীন। অথচ আল্লাহ এর দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত করেছেন। অন্য কেউ সেটা তার জন্য করে দিলেও হবে না। এই বিষয়টি সংশোধনের জন্য এই কথা জেনে নিতে হবে যে, যেই আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন তিনি তার রিযিকের দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছেন।
আল্লাহ রাব্বুল ইরশাদ করেন, ‘তিনি সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তোমাদের রিযিক দান করেছেন।’ (সূরা রূম ৪০)

সুতরাং আল্লাহর সৃষ্টির ব্যাপারে মানুষ যেমন কোন সন্দেহ করে না তেমনি (আল্লাহ প্রদত্ত) রিযিকের ব্যাপারেও তার কোনরূপ সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

লোভ-লালসা হলো মানুষের অন্যতম আত্মিক রোগ। এটি দূর করার তরিকা হলো এই বিষয়ে সচেতন হওয়া। লোভ তাকে দুনিয়ার ভেতর প্রবিষ্ট করে দেবে এবং ইবাদেতের মজা ভুলিয়ে দেবে। সে সঙ্গে তাকে মানুষের গোলামও বানিয়ে দেবে। অথচ আল্লাহতায়ালা তাকে তাদের গোলামী থেকে মুক্ত করে সৃষ্টি করেছেন।

আল্লাহর রাসূল (সা.) লোভ থেকে পানাহ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে পানাহ চাই এমন লোভ থেকে, যা হৃদয়কে মোহাবিষ্ট করার দিকে নিয়ে যায় এবং এমন লালসা থেকেও তোমার আশ্রয় চাই, যেখানে লালসা করার মতো কিছু নেই।’ (মুসনাদ আহমাদ ২২০২১)

এটি এমন লোভ, যা মানুষের অন্তরে গেঁথে গিয়ে তাকে দুনিয়ার প্রতি প্রলুব্ধ করে এবং আখিরাত থেকে বিমুখ করে। একজন সালাফ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘লোভ হলো উপস্থিত দরিদ্রতা। লোভগ্রস্ত ধনী ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র। আর লোভমুক্ত দরিদ্র ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে ধনী।’

তথ্যসূত্র : আবূ আবদুর  রহমান আস-সুলামী, অনুবাদ: আবদুল্লাহ আল মাসউদ, আত্মশুদ্ধি গ্রন্থ।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি