ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৬ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব তথ্য জানা জরুরি

প্রকাশিত : ১২:৪৯, ২১ মে ২০১৯

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

Ekushey Television Ltd.

রোজা প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজ করা হয়েছে। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেকেই রোজা পালন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিলে এবং সে অনুযায়ী চললে সুস্থভাবে রোজা রাখা যায়।

দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত রোগীদের রোজার প্রস্তুতির বিষয়ে কথা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি রোগের মধ্যে রোজা রাখার বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন ডায়াবেটিস রোগীরা। তবে একটু নিয়ম-কানুন মেনে চললে তারাও কিন্তু ভালোভাবে রোজা রাখতে পারবেন।

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস রোগীদের রোজা রাখার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা, নিয়মানুবর্তী জীবনযাপনের মাধ্যমে একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। সাধারণত কিছু নিয়ম-কানুন মেনে রোজা রাখলে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখার কিছুদিন আগে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা (খালি পেট/ভরা পেট), লিপিড প্রোফাইল, রক্তের সিরাম ক্রিয়েটিনিন, লিভার ফাংশন ইত্যাদি পরীক্ষা করে নেবেন। এসব পরীক্ষাগুলোর ফলাফল স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলে ডায়াবেটিস রোগীরা নির্দ্বিধায় রোজা রাখতে পারবেন।

কিছু বিশেষ সতর্কতা, নিয়ম মেনে চললে বেশির ভাগ ডায়াবেটিক রোগীই রোজা রাখতে পারেন।

যেমন-

♦ রোজার সময় ডায়াবেটিক রোগীদের ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। তাঁরা তারাবির নামাজের পর একটু হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করবেন।

♦ ইফতার শেষ করে নামাজ আদায় করে বিশ্রাম দিয়ে রাতের খাওয়া গ্রহণ করতে হবে।

♦ সময় শেষ হয়ে যাওয়ার ঠিক কিছুক্ষণ আগে সাহরি খেয়ে নিলে ভালো। রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসেমিয়া), ডায়াবেটিক কিটো-অ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনজাতীয় জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে সতর্ক থাকুন।

♦সাহরির দুই ঘণ্টা পর এবং ইফতারের এক ঘণ্টা আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করতে পারেন। সুগারের পরিমাণ কমে ৩.৯ মিলিমোল বা লিটার হয়ে গেলে রোজা ভেঙে ফেলুন। আবার সুগারের মাত্রা ১৬.৭ মিলিমোল অথবা লিটার বা তার বেশি হলে প্রস্রাবে কিটোন বডি পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

♦ মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিনের ডোজ কিছুটা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি