কুরআন হাদীসের আলোকে ব্যবসা
প্রকাশিত : ১৬:০২, ২৫ মে ২০১৯
হালাল উপার্জনের যতগুলো পন্থা আছে, তন্মধ্যে রাসূল (সা.) শ্রমলব্ধ ও ব্যবসার মাধ্যমে উপার্জিত আয়কে সর্বোত্তম বলে আখ্যায়িত করেছেন। যদিও বাহ্যিক দৃষ্টিতে ব্যবসা একটি দুনিয়াদারী কাজ। কিন্তু কোন একজন মুসলমান যখন মিথ্যা ও খেয়ানতের আশ্রয় না নিয়ে পূর্ণ সততা সহকারে সৎ উদ্দেশ্যে ব্যবসা করে, তখন তার এ ব্যবসা একটি পবিত্র ইবাদতে পরিণত হয়।
ব্যবসা সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন : ‘যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দণ্ডায়মান হবে, যেভাবে দণ্ডায়মান হয় ওই ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছে ক্রয় বিক্রয়ও তো সুদ নেয়ারই মত। অথচ আল্লাহতায়ালা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।’ (বাকারা ২৭৫)
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।’ (নিসা ২৯)
‘এমন লোকেরা যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম করা থাকে এবং যাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না। তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে।’ (নূর ৩৭)
‘পরিতাপ সে সব পরিমাণকারীদের জন্য, যারা লোকের কাছ থেকে পরিমাণে পুরোপুরিই গ্রহণ করে। কিন্তু তাদেরকে দেয়ার বেলায় পরিমাণে কম দেয়।’ (মুতাফফিফীন ১-৩)
ব্যবসা সম্পর্কে হাদীস : হযরত রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হুজুর (সা.)কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর নবী! মানুষের যাবতীয় উপার্জনের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে পবিত্র? হুজুর (সা.) বললেন, মানুষ নিজ হাতে যা কামাই করে এবং হালাল ব্যবসার মাধ্যমে যা উপার্জন করে। (মেশকাত)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সিদ্দিক এবং শহীদানদের সঙ্গে থাকবে।’ (তিরমিযি)
হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন- কারবারের দুই অংশীদারের কোন একজন যে পর্যন্ত খেয়ানতে লিপ্ত না হয় সে পর্যন্ত আমি তাদের সঙ্গেই অবস্থান করি। কিন্তু তাদের কেউ যখন খেয়ানত শুরু করে, তখন আমি তাদেরকে পরিত্যাগ করি। অন্য এক বর্ণনা মতে তখন তাদের মাঝখানে শয়তান এসে যায়। (আবু দাউদ)
(কুরআন ও হাদীস সঞ্চয়ন গ্রন্থ)
এএইচ/